টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি পেলেন আরিফুল ইসলাম। তবে ভাগ্য বদলায়নি বাংলাদেশ দলের। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সুপার লিগের শেষটাও হলো হার দিয়ে। সপ্তম স্থানের প্লে অফ ম্যাচেও হেরেছে রাকিবুল হাসানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ২ উইকেটে হেরে অষ্টম হয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ করলো বাংলাদেশের যুবারা।
গ্রুপ পর্ব শেষে সুপার লিগে খেলা তিন ম্যাচের সবক’টিতে হারলো বাংলাদেশ। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু। এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্লে অফ সেমিফাইনালেও একই পরিণতি। আর সবশেষ সপ্তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা কাছে ধরাশয়ী। যদিও আরিফুলের ১০২ রানে ভর দিয়ে বড় সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছিল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা স্কোরে জমা করে ২৯৩ রান। এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের দুর্দান্ত শতকে ৮ উইকেট হারিয়ে ৭ বল আগে জয় নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
অ্যান্টিগায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৭ রান যোগ করে আউট হন মাহফিজুল ইসলাম (২৯)। কিন্তু তার বিদায়ের পরই ধাক্কা। অনেক চেষ্টা করেও মাত্র ১ রান করে ফিরতে হয় আইচ মোল্লাকে। খানিক পর আরেক ওপেনার প্রান্তিক নওরোজ নাবিল (৩৮) সাজঘরের পথ ধরলে ৮৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে প্রতিরোধ শুরু আরিফুলের। আগের ম্যাচে ১০০ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার আবারও পেয়েছেন শতকের দেখা। দারুণ ব্যাটিংয়ে ৯ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ১০২ রানের ইনিংস খেলেন। তাকে ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন মোহাম্মদ ফাহিম (৩৬) ও মেহেরব হাসান (৩৬)। তাদের ব্যাটে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে সফল বোলার কেওয়েনা মাফাকা। এই পেসার ১০ ওভারে ৫৫ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন লিয়াম অ্যাল্ডার।
২৯৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরু ছিল নড়বড়ে। স্কোরে ২৪ রান তুলতে তারা হারায় ওপেনার জ্যাড স্মিথকে (১০)। যদিও তারা পথে ফেরে রোনান হেরমান ও ব্রেভিসের ব্যাটে। হেরমান ৪৬ রানে আউট হলেও প্রোটিয়াদের জয়ের ভিত গড়ে দেন ব্রেভিস। ওয়ান ডাউনে নামা এই ব্যাটার ১৩০ বলে খেলেন ১৩৮ রানের চমৎকার এক ইনিংস। যাতে ছিল ১১ চার ও ৭ ছক্কার মার। জয়ের পথে ভূমিকা রাখেন ম্যাথু বোস্ট (৪১)।
বাংলাদেশের তিন বোলার- রিপন মণ্ডল, মুশফিক হাসান ও মেহেরব, প্রত্যেকে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। আর একটি উইকেট শিকার আইচের।