করাচিতে শেষ ওয়ানডের পর কেটে গেছে ১০টি বছর। এই সময়ে মঞ্চস্থ হয়েছে তিনটি বিশ্বকাপ, বেড়ে উঠেছে একটি প্রজন্ম এবং ওয়ানডেতেও ঘটেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে ফিরছে একদিনের ক্রিকেট।
শুক্রবার বিকেল ৪টায় তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা, সরাসরি সম্প্রচার করবে সনি সিক্স। সবশেষ ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ওয়ানডে হয়েছিল এই করাচিতে, মুখোমুখি হয়েছিল এই দুটি দলই।
১০ সিনিয়র খেলোয়াড় এই সফর বয়কট করলেও নিরাপত্তা শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে লাহিরু থিরিমানের নেতৃত্বে করাচিতে পা রেখেছে লঙ্কানরা। প্রেসিডেন্টের মর্যাদার নিরাপত্তার চাদরে স্বস্তিতে অতিথি দলের ক্রিকেটাররা। আর রোমাঞ্চে ভাসছে পুরো পাকিস্তান। অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ একে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দারুণ মুহূর্ত বলছেন। যেই বাবর আজম করাচির উপচে পড়া দর্শক টিভিতে দেখেছিলেন সেই ছোট্টবেলায়, এবার সেখানে তিনি খেলতে যাচ্ছেন ভেবে রোমাঞ্চিত। করাচিতে ১০ বছর পর ওয়ানডে ফিরছে দেখে আবেগে ভাসছেন কোচ ও প্রধান নির্বাচক মিসবাহ উল হক। এটাকে কেবল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ নয়, দেশের সমর্থকরা একে দেখছে নতুন পথচলা হিসেবে।
এই নতুন পথচলায় মিসবাহ ও পিসিবি ক্রিকেট কমিটি আস্থা রেখেছে সরফরাজের ওপর। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পরও তার কাঁধে অধিনায়কের দায়িত্ব। অবশ্য পেস সেনসেশন শাহীন আফ্রিদিকে তারা পাচ্ছে না। দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ নওয়াজ, ইফতিখার আহমেদ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দেশের মাটিতে ফেভারিট হিসেবে লঙ্কানদের মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান। সবচেয়ে বড় কারণ প্রতিপক্ষ দলে নেই অভিজ্ঞরা।
পাকিস্তানের কাছে শেষ ১১ ওয়ানডেতে ৯ বার হেরেছে শ্রীলঙ্কা। অবশ্য লঙ্কান অধিনায়ক থিরিমানে সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইছেন, ‘আমি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চাই ভালো পারফর্ম করে। তাছাড়া দলে জায়গা পাকা করতে তরুণদের জন্য ভালো একটা সুযোগ।’
দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ফল যাই হোক না কেন, আপাতত পাকিস্তান ভাসছে চার বছরে দেশের মাটিতে প্রথম ওয়ানডে খেলার উচ্ছ্বাসে। স্বাগতিক ব্যাটসম্যান ফখর জামান বলেছেন, ‘অন্য দেশে হোম ম্যাচ খেলা খুব হতাশার। আমাদের দেশের মানুষেল সামনে ক্রিকেট খেলতে পারবো, এর চেয়ে বড় ব্যাপার আর কী আছে। এই সুযোগ পেয়ে আমরা সবাই আনন্দিত।’ ক্রিকইনফো, ক্রিকবাজ।