গত ইউরোর সেমিফাইনালে দুই দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কম হয়নি। ম্যাচ গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। জার্মানিতে এবারের আসরে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও তেমনটি ভাবা হয়েছিল। হয়তো ধুন্ধুমার আরও একটি ম্যাচ দেখার অপেক্ষা। কিন্তু ক্রীড়ামোদিদের এক অর্থে হতাশই হতে হয়েছে। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, অনেকটা একপেশে ম্যাচ খেলে স্পেন ১-০ গোলে হারিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে। টানা দুই জয়ে নক আউট পর্ব নিশ্চিত হয়েছে স্পেনের। ইতালিকে অপেক্ষা করতে হবে পরের ম্যাচের ফলের ওপর।
একপেশে ম্যাচ বলার কারণও আছে। পরিসংখ্যান দেখলে পরিষ্কার হবে। ৯০ মিনিটের ম্যাচটিতে স্পেন বল দখলে এগিয়ে থেকে একচেটিয়া খেলে অন টার্গেটে শট নিয়েছে ৮টি। বিপরীতে ইতালির মাত্র একটি! স্পেনের আক্রমণ নস্যাৎ করতেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বেশি সময় ব্যস্ত থাকতে হয়েছে।
ভেলটিনস এরিনাতে শুরু থেকে ম্যাচের বাটন নিজেদের কাছে রাখে স্পেন। টিকি-টাকা ফুটবল খেলে একের পর এক আক্রমণ হেনে প্রতিপক্ষকে ব্যস্ত রাখে। ২ মিনিটে স্পেন এগিয়ে যেতে পারতো। নিকো উইলিয়ামসের কর্নারে পেদ্রির হেড গোলকিপার গোল হতে দেননি।
১০ মিনিটে আলভারো মোরাতোর ক্রসে নিকো উইলিয়ামসের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ২৪ মিনিটে মোরাতোর আরও একটি শট গোলকিপার প্রতিহত করে গোল বাঁচান। ২৭ ও ২৮ মিনিটে রদ্রি একটি করে সুযোগ নষ্ট করলে গোল পাওয়া হয়নি স্পেনের। এরপর ফ্যাবিনো রুইজের দুটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
বিরতির ঠিক আগে ইতালি কিছু একটা করার চেষ্টা করে। ৪৫ মিনিটে ইতালির ফ্যাড্রিকো চিয়েসার শট পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি।
বিরতির পরও স্পেনের আধিপত্য চলতে থাকে। যদিও তাদের একমাত্র গোলটি এসেছে আত্মঘাতী থেকে। ৫৫ মিনিটে স্পেন এগিয়ে যায়। তাদের একজনের ক্রস থেকে গোলকিপার ক্লিয়ার করতে পারেননি, অন্য প্রান্তে ইতালির রিকার্ডো কালাফিয়োরির ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেই জড়িয়ে দেন জালে। লিড নেয় স্পেন।
ব্যবধান বাড়াতে স্পেন কম চেষ্টা করেনি। দুটো সুযোগ তো ক্রস বারে লেগে ফিরে আসলে আফসোস করতে হয়েছে। ৬০ মিনিটে লামিয়ানে ইয়ামাল বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শট পোস্টে লেগে সমর্থকদের আশাহত করে।
৭০ মিনিটে মার্ক কুকুরেল্লার পাসে নিকো উইলিয়ামস বক্সে ঢুকে ডান পায়ের জোরালো শট নিলেও তা গোলকিপারকে পরাস্ত করে ক্রস বারে লেগে আবারও হতাশ সমর্থকদের আফসোস বাড়িয়ে দেয়।
৭৪ মিনিটে ইতালি সুযোগ পায়। লরেঞ্চো পেলেগ্রিনি ফ্রি-কিক থেকে চেষ্টা করে ব্যবধান কমাতে পারেননি। তার নেওয়া শট বাইরে দিয়ে যায়।
শেষ দিকে এসে ইতালি আগ্রাসী খেলার চেষ্টা করে। কিন্তু দুর্ভাগ্য কাঙ্ক্ষিত সমতাসূচক গোল করতে পারেনি। স্পেনও সুযোগ পেয়েছিল। গোলকিপার দোনারুম্মা এবার আর ভুল করেননি। গোল ব্যবধান বাড়তে দেননি। তবে দলের হার এড়াতে পারেননি তিনি।