দ্বিতীয় ওয়ানডের মতো শেষ ম্যাচেও রানের পাহাড় ছিলো নিউজিল্যান্ডের। শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা লড়াইয়ের মানসিকতা দেখায় সেই থিসারা পেরেরার ব্যাটে। ইনিংস লম্বা না হওয়াতে শেষ ম্যাচেও সেই পাহাড়ে চাপা পড়েছে শ্রীলঙ্কা। তাদের ১১৫ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে স্বাগতিকরা।
টস জিতে শুরুতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। ৩১ রানে দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও কলিন মুনরোকে বিদায় দিলে বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক মনে হয়েছিলো। তাদের সেই স্বস্তিটা অস্বস্তিতে পরিণত করেন রস টেলর ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। কিউই অধিনায়ক ৫৫ রানে বিদায় নিলেও ততক্ষণে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে যায় তারা। পরে হেনরি নিকোলস ও টেলরের ১৫৪ রানের আগ্রাসী জুটি বিশাল রানের ভিত গড়ে দেয় স্বাগতিকদের। টেলর বিদায় নেওয়ার আগে ১৩১ বলে করেন ১৩৭ রান। তার ঝড়ো ইনিংসে ছিলো ৯টি চার ও ৪টি ছয়। অপর দিকে নিকোলস ছিলেন আরও বিধ্বংসী। ৮০ বলে অপরাজিত থাকেন ১২৪ রানে। ১২টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো তার ইনিংস। নিকোলসের ঝড়েই ৪ উইকেটে ৩৬৪ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের নেওয়া তিনটি উইকেটই শিকার করেন অধিনায়ক মালিঙ্গা।
এত বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নামা শ্রীলঙ্কার শুরুটা দেখে মনে হচ্ছিলো ধবলধোলাই প্রতিরোধের মিশনে নেমেছে মালিঙ্গার দল। ওপেনিং জুটিতে তেমন প্রতিরোধে আসে ৬৬ রান। ধনাঞ্জয়া সিলভা ৩৬ রানে ফিরে গেলে লড়াই করার মানসিকতা দেখান নিরোশান ডিকবিলা। হাফসেঞ্চুরি থেকে ৪৬ রান দূরে থাকা এই ওপেনারকে বিদায় দেন নিশাম। এরপর মিডল অর্ডার ব্যর্থ হলে থিসারা পেরেরা বুক চিতিয়ে লড়াই করতে থাকেন একা। তার ঝড়ো গতির ব্যাটিং ক্ষণিকের জন্য জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করলেও দলীয় ২৪৪ রানে তার উইকেটটি তুলে নিয়ে লঙ্কানদের সেই সম্ভাবনার ইতি টানেন ফার্গুসন। ৬৩ বলে ৮০ রান করেন পেরেরা। তার ইনিংসে ছিলো ৭টি চার ও ৩টি ছয়।
এরপর ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে দূরে সরে যেতে থাকে শ্রীলঙ্কা। গুটিয়ে যেতেও সময় লাগেনি। ৪১.৪ ওভারে তারা অলআউট হয় ২৪৯ রানে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪০ রানে ৪ উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। তিনটি নেন ইশ সোধি। ম্যাচসেরা রস টেলর।