মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের মহাপরিচালক কেয়া খান বলেছেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে বেসরকারি সংগঠনগুলো যে কাজগুলো করছে তা প্রশংসনীয়। নারীর ক্ষমতায়ন ও নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করা দরকার। নির্যাতন কেন বাড়ছে, বাল্যবিবাহ কেন কমছে না; এই বিষয়গুলো নিয়ে একটি সমন্বিত গবেষণা হওয়া দরকার।’ নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সহযোদ্ধা হিসেবে পুরুষকেও যুক্ত করারও আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীতে নেটজ পার্টনারশিপ ফর ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড জাস্টিস আয়োজিত জাতীয় সেমিনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বাল্যবিয়ে, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়গুলো দেখার জন্য নারীর নিরাপত্তা, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করারও তাগিদ দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহেরুল হক চৌহান। তিনি বলেন, শুধু আইন প্রয়োগ করে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করা যাবে না। তিনি তরুণ সমাজকে নৈতিক মুল্যবোধে উজ্জীবিত করার ওপর জোর দেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সমাজে প্রতিযোগিতা এবং নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার প্রবণতাকে নিরুতসাহিত করতে হবে।
বর্তমান সময়ে বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীদের দায়ী করার প্রবণতা বেশি উল্লেখ করে প্যানেল আলোচক হিসেবে ‘আমরাই পারি’র নির্বাহী পরিচালক জিনাত আরা হক বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে, তরুণ ও শিক্ষার্থী সমাজ, যারা দেশের ভবিষ্যত কর্ণধার, তাদের জীবন গঠনে অভিভাবকদের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। একারণে গঠনমূলক কাজে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্তকরণ খুবই জরুরি।’
জাতীয় সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন, আটটি জেলার নাগরিক সমাজ প্রতিনিধি এবং সরকারি কর্মকতা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, গবেষক, মানবাধিকারকর্মীরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে গবেষণালব্ধ ধারণাপত্র উপস্থাপন করে মো. কামরুজ্জামান।