আমানত ও আয়ে লক্ষণীয় প্রবৃদ্ধির কারণে ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের সমন্বিত করপরবর্তী নিট মুনাফা ৭৭ শতাংশ বেড়ে ৫৯১ কোটি টাকা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একক ভিত্তিতে ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির গ্রাহক আমানত ৩৪ শতাংশ (অ্যানুয়ালাইজড ভিত্তিতে) বৃদ্ধি পেয়ে ৪৯ হাজার ১৩২ কোটি থেকে ৫৭ হাজার ৫১১ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। একই সময়ে আয় ৩৭ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫১০ কোটি থেকে ২ হাজার ৬১ কোটি টাকা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটির অন্যান্য অঙ্গপ্রতিষ্ঠানসহ সমন্বিত করপরবর্তী নিট মুনাফা ৫৯১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, যার পরিমাণ ২০২৩ সালের একই সময়ে ছিল ৩৩৪ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্রে ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির একক করপরবর্তী নিট মুনাফা ৭১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫১৯ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৩০৩ কোটি টাকা।
ব্র্যাক ব্যাংক জানিয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য অর্জন হলো, এ বছরের প্রথমার্ধে সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় ২ দশমিক ৯৫ টাকায় উন্নীত হয়েছে। চলতি বছরের ৩০ জুন ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি নিট অ্যাসেট ভ্যালু ৩৯ দশমিক ৯৫ টাকায় উন্নীত হয়েছে, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ৩৭ দশমিক ৬০ টাকা ছিল। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ১৯ দশমিক ৬১ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫ দশমিক ৮৩ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটির একক খেলাপি ঋণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়ে ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ হয়েছে, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৩ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
ব্যাংকটির আর্থিক ফলাফল সম্পর্কে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘ব্র্যাক ব্যাংকের ২০২৪ সালের প্রথমার্ধের আর্থিক ফলাফল মূলত ইন্ডাস্ট্রি অ্যাভারেজের ওপরে ব্যালেন্স শিট প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং ক্রমবর্ধমান গ্রাহকদের আর্থিক সেবা দিতে আমাদের শক্তিশালী আর্থিক অবস্থানকে তুলে ধরে। এটি আমাদের ওপর আমাদের গ্রাহকদের অবিচল আস্থা এবং ব্যাংকিং খাতে আমাদের টেকসইতার প্রমাণ। আমরা আমাদের এই প্রবৃদ্ধিযাত্রা অব্যাহত রেখে ভবিষ্যতে আরও সাফল্য অর্জন করতে চাই। ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা যে আমাদের ব্যবসায় দ্বিগুণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, এ ধরনের শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জন আমাদের সেই লক্ষ্য পূরণের যাত্রাকেই নির্দেশ করে।’