ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে হাসিবুল আলম নামে ২৪ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যুতে প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব সালেহ উদ্দিন সিফাতের সই করা এক বিবৃতিতে এ ঘটনার প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে দলটি।
বিবৃতিতে এনসিপি জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গুরুতর আহত ও মুমূর্ষু অবস্থায় হাসিবুল আলমকে তুলে নিয়ে যায় বিএসএফ। রাতে ভারতের কোচবিহারের একটি হাসপাতালে তিনি শাহাদাত বরণ করেন।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল ঝিনাইদহের পলিয়ানপুর সীমান্তে বিএসএফ ওয়াসিম হোসেন (৩৫) নামে এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে বলেও উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অমানবিকতার চরম দৃষ্টান্তস্বরূপ ওয়াসিম হোসেনের লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইন ও দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতাকে সরাসরি ভঙ্গ করে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সীমান্তে অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের যুবকদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে এবং এমনকি তাদের লাশের সাথেও চরম অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। চলতি মাসেই অন্তত তিন জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের হাতে শহীদ হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের গড়নকালে নানা সময়ে বাংলাদেশের তরুণরা সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সাংস্কতিক তৎপরতা জারি রেখেছে। কিন্তু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্রনীতি এখন পর্যন্ত সীমান্ত হত্যা বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এনসিপি বলছে, রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সীমান্তবর্তী সব জেলার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। একইসঙ্গে, ঢাকাকেন্দ্রিকতার বাইরে গিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকার নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কর্মসূচি হাতে নিন। অভ্যুত্থানের সরকার হিসাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সীমান্ত হত্যার মতো এমন গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আদালতে উত্থাপন করার জোর দাবি জানায় এনসিপি।