বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আমার দেশের নারীরা ঢাকা শহরসহ সারা দেশে কোন পোষাকে থাকবেন মুখ ঢাকবেন কিনা, কীভাবে যাবেন— এগুলো নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, ট্রল হচ্ছে। এগুলো সমাজের মধ্যে চিন্তা, আদর্শ, সংস্কৃতি মনোজগতের মধ্যে একটা ডানপন্থার যে উত্থান, দক্ষিণ পন্থার যে উত্থান এগুলা তার একটা সিম্বোলিক বহিঃপ্রকাশ। কাল না হয় পরশু একটা বড় প্রশ্ন হয়ে সামনে আসবে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ‘১০ এপ্রিল প্রজাতন্ত্র দিবস ঘোষণা এবং একইসঙ্গে সংবিধানে সংস্কার সভা ও সংসদ নির্বাচনের দাবিতে’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, বিচার এবং সংস্কারের ব্যাপারে সবাই ঐক্যমত এখানে। গণহত্যাসহ প্রতিটা অপরাধের বিচার হতে হবে। এটা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের আলাদা আলাদা প্রস্তাবণা আছে। সরকার কোথায় দাঁড়াবে, তারা দাড়াবেন ন্যূনতম ঐক্যমত পোষণের মধ্য দিয়ে যেসব ব্যাপারে সাধারণ একমত হতে পারি। বোঝাপড়া তৈরি করতে পারি, সংহতি তৈরি করতে পারি।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরিবর্তন ভারত এখনও মেনে নেয়নি। ভারত ট্রান্সশিপমিন্টের যেটুকু সুযোগ ছিল, তাও এক তরফা বাতিল করার মধ্য দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে। ভারতের সাউথ ব্লক বাংলাদেশ বিদ্বেষী মনোভাব এখনও তারা পরিবর্তন করেনি।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা, ৫ আগস্টের পরে থেকে আমরা কী সেগুলো দেখতে পাচ্ছি? বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ছাত্র রাজনীতি বন্ধের কথা বলা হচ্ছে। সেগুলো আবার সাধারণ ছাত্রদের নামে করা হচ্ছে। সেটা যে কতটা সাধারণ ছাত্র আর কতটা রাজনৈতিক উদ্দেশ প্রণোদিত সেটা নিয়ে পরিষ্কার আলোচনা প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলের মধ্যে যাচ্ছে। কাজেই স্বপ্নভঙ্গ কিন্তু আবারও শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, জনগণকে ক্রমাগত ক্ষমতাহীন করে ফেলা হয়েছে। জনগণ ব্যাপারটাই যেনও নেই, পুরো সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে। এটা বাংলাদেশের এখনকার বাস্তবতা। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করা আমাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য। যারা বাইপাস করে অন্যকিছু করতে চাইবে তারা অভ্যুত্থানকে বিপর্যস্ত করবে। ফলে পরিষ্কার, আমাদের সংস্কার লাগবে আমাদের নির্বাচন লাগবে।
জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।