গাজায় ইসরায়েলের হামলা, গণহত্যার বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি ‘খুবই মামুলি’ বক্তব্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাসদ আয়োজিত ‘গাজায় গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে’ বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলা, গণহত্যার বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি খুবই মামুলী বক্তব্য হয়েছে। সরকারের বিবৃতিতে জায়নবাদী ইসরায়েলের মদদদাতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা বিন্দুমাত্র উল্লেখ নেই। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন অথচ বিশ্ব আজ অশান্তিতে ছেয়ে গেছে। গাজা জ্বলছে অথচ ইউনূস সাহেবের এব্যাপারে কোনও বক্তব্য-বিবৃতি নেই।
তিনি বলেন, এমনিতেই ইসরায়েলের প্রতি ড. ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জনমনে সন্দেহ রয়েছে, কারণ ২০২৩ সালের ১৩ অক্টোবর প্রকাশিত সংবাদে দেখা যাচ্ছে ‘গ্রামীণ আমেরিকা’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলকে ১০০ কোটি টাকা সাহায্য দিয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের কো-চেয়ারম্যান হলেন ড. ইউনূস। ফলে বর্তমানে গাজায় গণহত্যা এবং ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে ড. ইউনূসের বক্তব্য স্পষ্ট করার জন্য তিনি জোর দাবি জানান।
বাসদের এই নেতা বলেন, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের তাবেদার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলো কথিত মুসলিম উম্মা ও ভ্রাতৃত্বের কথা বলে নির্বিকার রয়েছে শুধু নয় মিসর, জর্ডান, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কতিপয় মুসলিম দেশ জায়নবাদী ইসরায়েল রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক।
এসময় অন্য নেতারা বাংলাদেশ সরকারকে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্ক বাতিল করা ও আন্তর্জাতিক ফোরামে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এবং মদদদাতা মার্কিনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় আহ্বান জানান। পাশাপাশি গাজায় অব্যাহত গণহত্যা বন্ধে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হওয়ায় জাতিসংঘের কঠোর সমালোচনা করেন।
বাসদ ঢাকা মহানগরের ইনচার্জ নিখিল দাসের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বাসদের ঢাকা মহানগর নেতা আহসান হাবিব বুলবুল, খালেকুজ্জামান লিপন প্রমুখ।