বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত অস্থিরতা তৈরির বহুমুখী তৎপরতা চলছে। ছাত্র শ্রমিক জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাকে নষ্ট করারও বহুমুখী তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এই ঐক্য বিনষ্ট হলে গণ-অভ্যুত্থানের বিজয় হারিয়ে যেতে পারে; পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি ফিরে আসার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) পার্টির দুই দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির সভার প্রথম অধিবেশনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট প্রদানকালে তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির এই সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশেষ মহল বা গোষ্ঠীগত কোনও এজেন্ডার চাপে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেসামাল হলে চলবে না। অতি উৎসাহী ও আবেগী অতিকথনে সরকারের বিভ্রান্ত হওয়ারও কোনও অবকাশ নেই।
সাইফুল হক অন্তর্বর্তী সরকার বিতর্কিত হয় বা বিপদে পড়ে, এমন সব তৎপরতা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে বড় বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শহীদুল আলম নান্নু, রাশিদা বেগম, এপোলো জামালী, সজিব সরকার রতন, সাইফুল ইসলাম, স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, নির্মল বড়ুয়া মিলন, মীর রেজাউল আলম, জুঁই চাকমা, মুক্তা ইসলাম প্রমুখ।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের আড়াই মাসের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে সরকারের সাফল্য ও দুর্বলতাগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়।
সভার শুরুতে গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠসৈনিক গীতিকার-সুরকার সুজেয় শ্যাম ও পার্টির শহীদদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।