শিবির ও মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়ন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) এক যৌথ বিবৃতি সংগঠন দুটি থেকে একথা জানায়। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সভা নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এই যৌথ বিবৃতি দেয়৷
বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই মর্মে খবর প্রচারিত হয়েছে যে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর সাথে সভা করেছে। সেই সভায় উপস্থিত সংগঠনসমূহের তালিকায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর নাম দেখে আমরা বিস্মিত। উল্লেখ্য, এই সভায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক রাহয়ান উদ্দিন ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এর সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা, সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন শুভ আজ ১৩ আগস্ট ২০২৪ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, উক্ত সভায় ইসলামি ছাত্র শিবিরসহ অন্যান্য মৌলবাদী- সাম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠনগুলোর উপস্থিতি সারাদেশের গণতন্ত্রকামী ছাত্র-জনতাকে হতবাক করেছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থানে দীর্ঘ ১৬ বছরের আওয়ামী স্বৈরশাসনের অবসান হয়েছে। এই অভ্যুত্থানে আমরা দুই সংগঠন সারাদেশে সর্বাত্মকভাবে অংশ নিয়েছি, আন্দোলন তরান্বিত করার চেষ্টা করেছি।
তারা বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ছাত্রসমাজের করণীয় প্রশ্নে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ঐক্যের নামে ছাত্র শিবিরসহ বিভিন্ন মৌলবাদী সংগঠনের সমন্বয়ে পরিচালিত কোনো প্রক্রিয়ার সাথে আমরা যুক্ত নই।
প্রচারিত এই খবরে ছাত্রসমাজকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহবান জানিয়ে তারা বলেন, আগামীদিনে স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রাম ও মৌলবাদ- সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী সংগ্রাম সমানভাবে বেগবান করার জন্য আপামর ছাত্র-জনতার প্রতি উদাত্ত আহবান জানাই।