বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা ও বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনে সব বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা দেওয়ার দাবি সমাজের নানা অংশের পক্ষ থেকে করলেও এখনও পর্যন্ত বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল দলের সঙ্গে কোনও আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) সংবাদপত্রে দেওয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতারা অবিলম্বে বাম গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলসহ সমাজের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা ও ঘোষণার দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ জনগণের জানমালের ওপর আঘাত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে নতুন করে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান দখলদারত্বেরও ঘটনা ঘটছে। এসব বিষয়ে জনগণের জালমাল রক্ষায় এবং সব ধরনের দখলদারত্বের অবসানে রাষ্ট্র প্রশাসনকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে জনগণের জানমাল রক্ষায় বাম জোট, ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা ও বাংলাদেশ জাসদের নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং অন্যান্য বাম গণতান্ত্রিক শক্তিসহ স্থানীয় সচেতন জনগণকে সংগঠিত করে লুণ্ঠন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন– বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির সভাপতি মো. শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, ফ্যাসিবাদীবিরোধী বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামে সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন নাসু, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, বাসদ (মাহবুব) আহ্বায়ক সন্তোষ গুপ্ত।