আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেছেন, শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) রাতে ট্রেন পুড়িয়ে মানুষ হত্যার যে নৃশংসতা করা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। হতাহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে চূড়ান্তভাবে দাফন করার আয়োজন চলছে। এই নির্বাচন জনগণের কোনও নির্বাচন নয়। এটি আওয়ামী লীগ, ডামি আওয়ামী লীগ, সরকারের পদলেহনকারী প্রশাসন ও সংস্থাগুলোর যৌথ নির্বাচন।’
শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচন বর্জনে চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি এবং ৭ জানুয়ারিকে ‘ইতিহাসের কালো দিন’ হিসেবে চিহ্নিত করে পুরোদিন ‘স্বেচ্ছায় প্রতিবাদী লকডাউন’ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই সংবাদ সম্মেলন।
দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দেওয়া আওয়ামী অপশক্তিকে প্রত্যাখ্যান করে জনগণকে আগামীকাল (৭ জানুয়ারি) ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি- ‘এবি পার্টি’।
পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু।
সোলায়মান চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা দেখছেন একজন প্রার্থী নিজে ঘোষণা করেছেন— তিনি ভারতের প্রার্থী। তারপরও নির্বাচন কমিশন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এটা কতবড় তামাশা! আমরা এই নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করি। যতদিন জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না হবে, এবি পার্টি আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।’
লিখিত বক্তব্যে মজিবুর রহমান মন্জু বলেন, ‘এই সরকার দেশের জনগণের অধিকার, বাক স্বাধীনতা ও স্বাধীন মতামতের মাধ্যমে সরকার গঠনের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার পরম্পরায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো করে ৭ জানুয়ারি আরেকটি সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে— যার নাম দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। একজনের একক সিদ্ধান্তে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে। সরকারের লুটপাট অব্যাহত রাখার লাইসেন্স নবায়নের এই নির্বাচনকে দেশের জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। আমরা জনগণকে অনুরোধ করছি— এই প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করুন।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন শুরু থেকেই আমাদের পুরো আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ, অহিংস এবং নিয়মতান্ত্রিক। কিন্তু সরকার পদে পদে বাধা দিয়ে সন্ত্রাসী ও পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করেছে। পুলিশি অনুমতির নামে সমাবেশ করতে না দেওয়া, রাস্তায় রাস্তায় তল্লাশি,বাস,ট্রেন,লঞ্চ, স্টিমার বন্ধ করে দিয়ে বিরোধীদের সমাবেশে জনসমাগম ঠেকানো, বিরোধী দলের কর্মসূচির দিন পাল্টা কর্মসূচি ডাকা। হামলা, গুম, খুন গায়েবি মামলা ইত্যাদি হেন কোনও কাজ নেই, যা সরকারি দল করেনি। সবশেষ তারা নিজেরা নানা নাশকতা করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়ী করার চেষ্টা করছে।’