বাম গণতান্ত্রিক জোটের আহ্বানে ২৮ মার্চের অর্ধদিবস হরতালে সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
রবিবার (২০ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে হরতালের প্রতি সমর্থন জানিয়ে সেটি সফল করতে কর্মসূচি ঘোষণা করে সংগঠনটি। তাদের ঘোষিত কর্মসূচি হলো— ২১ মার্চ ১২টায় ঢাবি, ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ২৪ মার্চ সকাল ১১টায় বুয়েট-পলাশীতে প্রচারপত্র বিলি ও গণসংযোগ করবে। ২৭ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় শাহবাগে মশাল মিছিল করবে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মো. ফয়েজ উল্লাহ। লিখিত বক্তব্যে পাঠকালে তিনি বলেন, ‘গত ১১ মার্চ দ্রব্যমূল্যের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ ও মানুষকে বাঁচানোর দাবিতে ২৮ মার্চ বাম গণতান্ত্রিক জোটের দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতালের ডাকে আমরা প্রগতিশীল ছাত্রজোট সর্বাত্মক সমর্থন জানাচ্ছি। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন চাল ডাল তেল গ্যাসসহ অন্যান্য পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে আজ দেশের খেটে খাওয়া জনগণের নাজেহাল অবস্থা। মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রমজীবী পরিবারের জীবন ধারণ করাই হয়ে উঠেছে দুরূহ।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার তার পুরো শাসনামলজুড়েই নানান অজুহাতে এই মূল্যবৃদ্ধির আয়োজন করে, তাকে জায়েজ করার চেষ্টা করেছে। কখনও তারা বিশ্ববাজারের অজুহাত দেয়, কখনোবা বিরোধী দলের, কখনও নির্লজ্জের মতো স্বীকার করে নেয়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে তাদের কিছু করার নেই। এখন তারা দায় চাপাতে চাইছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ওপর। কিন্তু সত্যি কথা হলো— যুদ্ধ শুরুর বহু আগে থেকেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জাঁতাকলে মানুষ পিষ্ট হয়ে জীবনযাপন করছিল। করোনার সময় বহু মানুষ কাজ হারিয়ে সঞ্চয় খুইয়ে নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে।’
এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন—সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক রাসেদ শাহরিয়ার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য।