বাংলাদেশ স্বাধীন নাহলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ছয় দফা আন্দোলনের মূল কথা ছিল আমরা একটি সম–অধিকার ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চাই। মূল উদ্দেশ্য ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। মঙ্গলবার (৭জুন) রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, আমাদের অধিকারের জন্যই পাকিস্তান রাষ্ট্রকে বিভক্ত করার প্রয়োজন ছিল। বঙ্গবন্ধু ধীরে ধীরে এই বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। যখন তিনি কোনও জনসভায় যেতেন, সেখানে ছয় দফার গুরুত্বটা কী, সেটা বর্ণনা করতেন। ছয় দফা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় জনসভা করতেন। আর সভায় গেলে তাকে গ্রেফতার করা হতো।
এ সময় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহস, ধৈর্য ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে অন্য কারও তুলনা হয় না বলেও মন্তব্য করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ১৯৬৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে একটি সর্বদলীয় সম্মেলনে বিষয় নির্ধারণী সভায় বঙ্গবন্ধু এই ছয় দফা পেশ করেছিলেন। কিন্তু সেদিন অন্যান্য রাজনৈতিক দল এই ছয় দফাকে বিষয় নির্ধারণীতে অন্তর্ভুক্ত করেনি। বঙ্গবন্ধু বাধ্য হয়ে সম্মেলন ত্যাগ করেন, তিনি ঢাকার পুরোনো বিমানবন্দরে অবতরণ করে সাংবাদিকদের সামনে প্রথম এই ছয় দফা উত্থাপন করেন।
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, যে জঙ্গিবাদ বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জ করতে চায়, সেই চ্যালেঞ্জে তারা হারবে, আমরা জিতব শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয় হবেই হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান প্রমুখ।
আরও পড়তে পারেন: জঙ্গি টার্গেট এখন আরও স্পষ্ট ও সংহত
/পিএইচসি/এমএনএইচ/