একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী ও চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের দুই প্রভাবশালী নেতা আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দাবি করেছেন।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত দলীয় অনুষ্ঠানে তারা এ দাবি জানান।
জামায়াতে ইসলামী খিলগাঁও পশ্চিম থানা আয়োজিত গণসংযোগ পক্ষের দাওয়াতি অভিযান পূর্বক এক পথসভায় দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কমিটির আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘জনর্দুভোগ লাঘবে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে হবে। গণহত্যার বিচার ও সংস্কারের পাশাপাশি আগামী জুনের মধ্যেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন শেষ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।’
গণহত্যার বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কেবল ক্ষমতার পালা বদলের নির্বাচন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও স্বাধীন দেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে।’
শনিবার (২৬ এপ্রিল) গণমিছিল কর্মসূচি সফলের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, ‘ইসির সক্ষমতা যাচাইয়ে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় নির্বাচন দিতে হবে।’
প্রভাবশালী এই নেতা উল্লেখ করেন, ‘এ দাবি এখন অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের। একক কোনও দলকে সরকার বিশেষ কোনও সুবিধা দিলে তা দেশের জনগণ বরদাশত করবে না।’
ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘বিশেষ কোনও দলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়নি। হাজারও শহীদের রক্ত আর হাত,পা, চোখ হারানো পঙ্গুত্ববরণকারীদের সঙ্গে বেইমানি করলে পরিণতি শুভ হবে না।’
প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দিতে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও ছাত্রদের নতুন দল এনসিপি দাবি জানিয়ে আসছে।
বিএনপিসহ দেশের মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো ভোটাধিকার প্রয়োগের কথা উল্লেখ করে জাতীয় নির্বাচন আগে চাইছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও স্থানীয় নির্বাচন দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা আপাতত নেই বলে জানানো হয়েছে।
তবে সরকারের ভেতরে থাকা একটি পক্ষ চাইছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের সময়কে আরও পিছিয়ে দিতে, বিএনপিসহ দেশের রাজনৈতিক দলগুলো এমন অভিযোগ করে আসছে।