আগামী রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন হলে ভালো হয় বলে মত দিয়েছেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। বাংলাদেশ সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি নিকোল এন চুলিকের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা জানিয়ে এসেছেন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে জামায়াতের আমির বলেন, ‘তারা জানতে চেয়েছেন কখন এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। আমরা বলেছি, সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, এ বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন দেবেন।’
‘আমরা আশা করি ইলেকশনটা এ সময়ের মধ্যেই হবে। তবে আগামী রমজানের আগে হলে ভালো হয়। জুনের দিকে নির্বাচন দিলে তখন বর্ষা, ঝড়ঝাপটাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসতে পারে। তখন আবার ইলেকশনটা পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। আমরা এজন্য চাচ্ছি ওই আশঙ্কার আগেই যাতে ইলেকশনটা হয়ে যায়।’
বৈঠকে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন ও জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমাদের খোলামেলা কথা হয়েছে। তারা বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন। তারা আগামী ইলেকশন কখন হবে, কীভাবে হবে এটা জানতে চেয়েছেন। তারা আরও জানতে চেয়েছেন— সব দল রিফর্ম চাচ্ছে, সেই রিফর্ম কেমন হতে পারে এবং আমরা কী চাচ্ছি। আমরা যদি আগামীতে দেশের দায়িত্ব পাই তাহলে আমাদের ইকোনমিক পলিসি এবং ফরেন রিলেশনটা কেমন হবে?’
‘তারা আমাদের রিজিয়নাল বা আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় জানতে চেয়েছেন। আমরা এসব বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছি। তারা মাইনরিটি ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন, তারা ওমেনস রাইটস নিয়ে কথা বলেছেন, লেবার রাইটস নিয়ে কথা বলেছেন।’
‘আমরা তাদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে কনভারসেশন করেছি। এর পাশাপাশি আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, আমাদের দেশ এখন ক্রিটিক্যাল জাংচারে আছে, একটা ক্রুসিয়াল টাইম অতিবাহিত করছে। এ সময় আমেরিকার পক্ষ থেকে ৩৭ শতাংশ ট্যারিফ ধার্য করা হয়েছে। এটা যেন তারা পুনর্বিবেচনা করেন এবং আমাদের এ অনুরোধ যেন তারা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেন।’