দেশের অভ্যন্তরে একাধিক গোষ্ঠী বিদেশি শক্তির প্রভাবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন রুখে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে বলে মনে করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। একইসঙ্গে সরকারের অভ্যন্তরে নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক বক্তব্য সামনে আসায় এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি দেবে দলটি।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই অবস্থান লিখিতভাবে তুলে ধরবেন। এতে নেতৃত্ব দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দেওয়া চিঠির বিষয়ে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) জরুরি বৈঠকও সেরে নিয়েছে বিএনপি।
দলের মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক রাত ১০টা ৩৮ মিনিট শেষ হয়েছে। বৈঠক শুরু হয়েছিল রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে।
স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, দলের স্থায়ী কমিটির একজন সিনিয়র সদস্য অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠির খসড়া তৈরি করেন। আজকের বৈঠকে চিঠিটি পড়ে শোনানো হয় এবং সদস্যরা মতামত ব্যক্ত করেন।
সূত্র জানায়, চিঠিতে সম্ভাব্য আগামী নির্বাচনের রোডম্যাপ কবে নাগাদ আসছে, নির্বাচনের বিরুদ্ধে সিসটেমেটিক্যালি একাধিক পক্ষ অবস্থান নিয়েছে। বিএনপি মনে করে, কোনও রাজনৈতিক দল নির্বাচনের বিরুদ্ধে থাকতে পারে না। যে কারণে যারা নির্বাচনের বিরোধিতা করছে, তাদের মধ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে, বলেও প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক করবে দলটি।
স্থায়ী কমিটির সূত্র জানায়, সম্প্রতি সরকারের উপদেষ্টা, প্রেস উইংয়ের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে নির্বাচন নিয়ে নানা বক্তব্য এসেছে। এগুলো প্রধান উপদেষ্টা নজরে আনবে বিএনপি।
এছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নির্বাচন বিলম্ব হলে নানামাত্রিক সংকটের আশঙ্কা করছে বিএনপি। এ বিষয়গুলোও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য জানান, চিঠিতে ড. ইউনূসকে ইতিবাচকভাবেও অনেক অ্যাপ্রোচ করা হবে।