বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইশরাক হোসেন বলেছেন, গোটা বাংলাদেশকেই কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের বুকের ওপর গুলি চালিয়ে, আমাদের হত্যা করে, মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়ে বাংলাদেশকে দখল করে রেখেছে।’
রবিবার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ১২টি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ইশরাক। শুনানি শেষে আদালত তার ১১ মামলায় জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে পল্টন থানার একটি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরে তাকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রিজন ভ্যান থেকে সাংবাদিকদের উদ্দেশ এসব কথা বলেন তিনি।
ইশরাক বলেন, ‘এই সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে রাখার জন্য বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাদের কারাগারে প্রেরণ করেছে। আজকে গোটা বাংলাদেশকেই কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের বুকের ওপর গুলি চালিয়ে, আমাদের হত্যা করে, মিথ্যা মামলায় জেলে প্রেরণ করে বাংলাদেশকে দখল করে রেখেছে। বাংলাদেশকে লুটপাট করছে। বিদ্যুৎ খাতে লুটপাট করছে। সব কিছু ধ্বংস করে ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়া ও আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে এ লড়াই করে যাবো। এতে যদি আমাদের মৃত্যুও হয় পিছপা হবো না। এটা কারও বাবার দেশ না। এ দেশের মালিক জনগণ। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। আজকে এ সরকার গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করেছে। এটা বেশি দিন চলতে পারে না।’