আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, আমরা চাই না— দুর্নীতির আগ্রাসন বাংলাদেশকে ছেয়ে ফেলুক। আমরা যেকোনও দুর্নীতি, অপরাধকে তীব্রভাবে প্রতিহত করবো।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে প্রয়াত শফী আহমেদের সাথী-শুভানুধ্যায়ীদের উদ্যোগে এক স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘রাজনীতির নামে ষড়যন্ত্র, বিরাজনীতিকরণে এখনও অনেকে লিপ্ত। সাম্প্রদায়িক শক্তির কালো-থাবা থেকে এখনও মুক্তি পায়নি প্রিয় স্বদেশ। এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপশক্তি ঘুরেফিরে বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন কায়দায় আমাদের সামনে আবির্ভূত হচ্ছে। ছোবল মারার চেষ্টা করছে। এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে একটা চক্র মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর আঘাত করে প্রকারান্তরে তরুণ সমাজকে ব্যবহার করতে চায়। কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবেভাবে বিশ্বাস করি, এই তরুণ প্রজন্ম কারও প্ররোচনায় প্ররোচিত হতে পারে না। তাদের মোহভঙ্গ হবেই। এটা অনিবার্য। কারণ, মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, বা যুদ্ধ করেছেন তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা অনন্তকাল ধরে চলবে। এই শ্রদ্ধাবোধই সকল প্রকার চক্রান্ত ষড়যন্ত্রের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও অবস্থান ধরে রাখবে। এর বিরুদ্ধে যারাই যে প্রক্রিয়ায় দাঁড়াক না কেন তারা পরাজিত হবেই।’
প্রয়াত শফী আহমেদের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নাছিম বলেন, ‘জঙ্গিবাদী শক্তির রক্ষক বা প্রতিপালক যারা, যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে নিজেদের সমর্পণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন, যারা দুর্নীতি, অপকর্ম ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মধ্য দিয়ে দুর্নীতিতে দেশকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশকে ধ্বংস করেছে, যারা গোলাম আজমের মতো মানুষকে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তি তথা একাত্তরের ঘাতক দালালদেরকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করেছে তাদের বিরুদ্ধে একজন সাহসী যোদ্ধা ছিলেন শফী আহমেদ। শফী আহমেদ প্রগতিশীল চিন্তা থেকে কখনও বিচ্যুত হননি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাক আহমেদ, আনোয়ারুল হক, শাহে আলম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।