বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মো. নুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এখন যারা বলছে গুপ্ত, বের হয়ে আসবেন কিনা। ইনটেনশনলি তারা এগুলো বলে। কেউ যদি ছাত্রশিবির করে দুর্নীতি না করে, ধর্ষণ না করে, টেন্ডারবাজি না করে, কারও কোনও সমস্যা আছে তাতে? আমাকে কেন শিবিরের লোগো লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতে হবে? যারা এগুলো বলে তাদের আলাদা ইনটেনশন আছে।’
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় সংগঠনের সভাপতি সুবর্ণ আসসাইফ, শাখা শিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম, শাখা শিবিরের সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘কী ইনটেনশন আমি জানি না। নাকি সব ছাত্রশিবির আইডেন্টিফাই করতে হবে। তারপর ছাত্রলীগ স্টাইলে যেটা করছে সেটা করবে। আমার কথা, আমি যেখানে যাই সেখানে আসো, আমার সদস্য সম্মেলনে তোমাকে ইনভাইট করা হয়েছে, তোমাকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। আমরা ৭-৮ হাজার সদস্য, সবাই ছিল। সাংবাদিকরা ছিল, ভিডিও ফুটেজ আছে, আমি তো সবাইকে উন্মুক্ত করেই দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ব্যক্তিকে হাইলাইট করি না, এটা কোনও সিস্টেম না। ২৩০ জন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দিলাম, যার মধ্যে ২০০ জন সদস্য, যাদের কোনও কাজ নেই। পরিচয় দিলাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, কী কাজ তোমার? আমার কোনও কাজ নেই। শিবিরের এমন কোনও ফাংশন নেই। আমরা শুধুমাত্র স্পেসিফিক দায়িত্ব বণ্টন করে দিই, এটা ছাত্রশিবিরের স্ট্রাকচারাল ঐতিহ্য।'
মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্ররা মিছিল কী চায় আসলে? ছাত্রশিবিরের নামে স্লোগান হোক এটা কি শিক্ষার্থীরা চায়? আমরা ৫ তারিখের পর ঘোষণা দিয়েছি। যেটা ছাত্ররা চায় না সেটা আমরা করবো না। ছাত্ররা চায় ইফতার মাহফিল, আমরা প্রতিদিন ২-৩ লাখ টাকার ইফতার করাচ্ছি। কয়েক হাজার ছাত্র ইফতার করছে। ছাত্ররা যা চাচ্ছে আমরা তাই করছি। সায়েন্স ফেস্ট করেছি, প্রকাশনা উৎসব করেছি, ছাত্ররা প্রশংসা করেছে। ছাত্ররা মিছিল, মিটিং, ভায়োলেন্স, গ্যাঞ্জাম এগুলো চাচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আমরা চাচ্ছি রাজনীতির একটা গুণগত পরিবর্তন হোক। বুদ্ধিবৃত্তিক একটি রাজনীতি অর্থাৎ দলীয় পারপাস এজেন্ডা বাস্তবায়ন হবে না, দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাউকে জোর করে মিছিলে নেওয়া যাবে না, সিট বণ্টনের নামে কাউকে জোর করে রাজনীতির মধ্যে নেওয়া যাবে না।’
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ১১৯ নং কক্ষে শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে যখন সবাই নিউজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল, ঠিক সে সময়ও ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা সাহস নিয়ে নিউজ করেছেন। ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা না থাকলে জুলাই বিপ্লব সফল হতো না। ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা জুলাই বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তারা কারও পারপাস সার্ভ করার জন্য কাজ করেননি। স্বাধীনভাবে দেশের পক্ষে কাজ করে গেছেন।’