বিএনপি রাজনীতিকে জনগণের দ্বারপ্রান্ত থেকে বিদেশি দূতাবাসের দরজায় নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘জনমানুষের কাছে না গিয়ে তারা দেশে-বিদেশে নালিশের রাজনীতি করছে। দলটি দেশের মানুষের কাছে নালিশ করতে চায় না।‘
আজ মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এই সভার আয়োজন করে।
বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে অগণতান্ত্রিক পন্থা খুঁজছে বলে অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলটি নির্বাচনে প্রক্রিয়ায় অংশ না নিয়ে, জনমানুষের কাছে না গিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের ভূমিকা প্রার্থনা করছে। এদেশের রাজনীতির মূল শক্তি বা কেন্দ্র সবই জনগণ। কিন্তু বিএনপি দেশের মানুষের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় না গিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সহানুভূতি খুঁজছে। এটা তাদের দেওলিয়াত্বের প্রমাণ। এদেশে জনগণই তাদের নেতৃত্ব বা সরকার নির্বাচন করবে, বিদেশি শক্তি নয়। যেহেতু তারা জনগণের কাছে যাচ্ছে না তাই তাদের পুরনো কৌশল অপপ্রচার-গুজব চালাচ্ছে। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উসকানি দিচ্ছে। তারা গণমাধ্যম আর ফেসবুকে রাজনীতি ও ফটোসেশনের জন্য নামমাত্র ত্রাণের রাজনীতি করছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে দেশের অগ্রগতির পথকে রুদ্ধ করার অপচেষ্টা করছে। যারা ৭১ এ মুক্ত স্বাধীন স্বদেশ যারা চায়নি তারাই এখন এদেশের এগিয়ে যাওয়া মেনে নিতে পারছে না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির অন্ধ ও নেতিবাচক রাজনীতি তাদের ইতোমধ্যেই জনবিচ্ছিন্ন করেছে। তারা এখন মরণ কামড় দিতে চায়। বাংলাদেশের স্থপতিকে হত্যার মাধ্যমে দেশবিরোধী রাজনীতি শুরু করেছিল যারা তারা এখনও সুযোগ খুঁজছে। কিন্তু দেশের লাখো কোটি জনতা সেই অশুভ শক্তি বলয়ের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে।’ প্রতিটি নেতাকর্মীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমৃদ্ধিশীল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম সেনানি ছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারাদেশে যে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির রাজনীতি চলছে, তাকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তিনি একটি অসাম্প্রদায়িক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার কাজ করছেন। রাজনীতি থেকে যে সৌজন্যতা হারিয়ে গেছে তার পুজারি ছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি দল-ব্যক্তিভেদে সবার বিপদে এগিয়ে আসতেন।’
বর্ষিয়ান জননেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীকে স্মরণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একজন রাজনীতিবীদের জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন ও সাফল্য হচ্ছে জনগণের ভালোবাসা। তিনি তার সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে জনমানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন। মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রামের একজন সফল রাজনীতিবীদ।’
এ সময় চট্টগ্রাম প্রান্তে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসির উদ্দিনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।