মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন থেকে আগামী সাত দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেয় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সবসময় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রশ্নে আপসহীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলঙ্ক ড. মোর্শেদ হাসান খান স্বাধীনতা বিরোধীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের ভুল ইতিহাস উপস্থাপন করেছেন, যা ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। গত বছর দৈনিক নয়াদিগন্ত ও যায়যায়দিন পত্রিকার নিবন্ধে প্রকাশিত তার লেখায় সংবিধানের ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম তফসিল ও অনুচ্ছেদ ৪ক লঙ্ঘন হয়েছে। এ অপরাধে অভিযুক্ত শিক্ষক মহান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান লঙ্ঘন ও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইনি কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের সুপারিশের পরেও পার পেয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে এই শিক্ষক। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কটূক্তি ও ইতিহাস বিকৃতির দায়ে অভিযুক্ত এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অপরাধের প্রমাণ পাওয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের অন্যতম নেতা মার্কেটিং বিভাগের এই শিক্ষককে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে চাকরিচ্যুতির সুপারিশ করলেও রহস্যজনকভাবে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।’
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো. আল মামুনের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য প্রমুখ। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে যেয়ে স্মারকলিপি হস্তান্তর করে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।