নব্য জেএমবি’র নতুন স্লিপার সেল এফজেড ফোর্সের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। তারা হলো, সাফফাত ইসলাম ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে উইলিয়াম ওরফে আল আরসালান ওরফে মেহেমেদ চাগরি বেগ (১৮) ও ইয়াছির আরাফাত ওরফে শান্ত (২০)।
সোমবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে দু’টি মোবাইল ফোন, একটি নান চাকু এবং তাদের হাতে লিখিত জঙ্গি তৎপরতার নির্দেশনা, কর্ম পরিকল্পনা সম্বলিত ডকুমেন্ট উদ্ধার করা হয়েছে। তারা দুজনেই বাড়ি থেকে কথিত হিজরতের নামে বেরিয়েছিল।
সিটিটিসির উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতরা নব্য জেএমবি’র সামরিক শাখার সদস্য। তারা নতুন একটি গ্রুপে ৭/৮ জন সদস্য একত্রিত হয়ে একটি স্লিপার সেল গঠন করে। এই সেলের নাম দেয় ‘এফজেড ফোর্স’।
তিনি বলেন, ‘তাদের প্রাথমিক টার্গেট ছিল প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং নাস্তিক সম্পদশালীদের হত্যা করা। এ জন্য তারা অস্ত্র সংগ্রহ এবং বোমা প্রস্তুত করার মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছিল। ইতোমধ্যে তারা পদ্মার চরে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে।’
সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতারকৃতরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য অনলাইন নেটওয়ার্কিং অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে এবং সংগঠনের কার্যক্রমকে জোরদার করার লক্ষ্যে সদস্য সংগ্রহ ও নাশকতা মূলক কর্মকাণ্ড করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তারা দুজনেই ৪ জুলাই তাদের বাসা থেকে কথিত হিজরতের নামে বেরিয়ে যায়। গ্রেফতার হওয়া সাফফাতের বাসা এলিফ্যান্ট রোডে। আর ইয়াছির আরাফাতের বাসা কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর রামেরকান্দায়।
সিটিটিসির ওই কর্মকর্তা জানান, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে হাতে লেখা কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তারা নিজেদের জুনুদউল্লাহ বা আল্লাহর সৈনিক হিসেবে আখ্যায়িত করে বিশেষ বাহিনী, গুপ্তচর শাখা, স্নাইপার ইউনিট, সাইবার ইউনিট, ম্যানুফ্যাকচারিং শাখা তৈরি করার নির্দেশনা ও কাজের পদ্ধতির কথা উল্লেখ রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সোমবার রাতেই সন্ত্রাস বিরোধী আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা (নং-১৩) হয়েছে। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।