আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পশুর হাটগুলোতে ভারতীয় গরু আমদানি ও বিক্রি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
শনিবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর কাপ্তানবাজারের গরু ব্যবসায়ী খন্দকার মুহম্মদ জালাল উদ্দিন ও বগুড়ার মুহম্মদ কামরুল বাসার কমল, মুহম্মদ আব্দুর রউফ এবং মো. জিয়াউল হকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ মাসুদুজ্জামান এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও সাম্প্রতিক বন্যার দুর্যোগময় পরিস্থিতির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের খামারিদের চরম দুঃসময় যাচ্ছে। ন্যায্য মূল্য না পেয়ে খামারিরা কম দামে গরু বিক্রি করে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন অবস্থায় অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনা ভারতীয় গরুগুলো আসন্ন কোরবানির হাটে তোলা হলে দেশীয় খামারিরা আরও গুরুতর অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের শিকার হবেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, চোরাচালানের মাধ্যমে গরু আমদানি এবং চোরাচালানকৃত গরু দেশে বিক্রয় করা উভয়ই বাংলাদেশে প্রচলিত ফৌজদারি আইনে অপরাধ। তাই ভারত থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা অবৈধ গরু কোনওভাবেই কোরবানির হাটে বিক্রয়ের জন্য তোলা যেতে পারে না।’
নোটিশ পাওয়ার ২ কার্যদিবসের মধ্যে দেশজুড়ে কোরবানির হাটগুলোতে অবৈধভাবে আনা ভারতীয় গরু বিক্রয় বন্ধে যথাযথ ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।