রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম তার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দিতেন না বলে জানিয়েছে র্যাব। রবিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে র্যাব সদর দফতরে অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সাহেদ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচ্ছি। তার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন দিতো না। কীভাবে তারা বেতন পেতে আইনি পরামর্শ পাওয়া যায় এ ব্যাপারে র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।’
সাহেদের প্রত্যেকের কাছে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতো বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে যেভাবে নিজেকে পরিচয় করানোর দরকার তিনি সেভাবেই সমাজের সব স্তরের মানুষের কাছে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে পরিচয় দিতেন।’
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাহেদের ছবি প্রসঙ্গে লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, যে কেউ যে কারও সঙ্গে ছবি তুলতে পারে। যাদের সঙ্গে ছবি নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, তারা গুরুত্বপূর্ণ পদের। ছবিকে পুঁজি করে প্রতারণা করেছে বলা ঠিক হবে না।
সাহেদ করিমকে প্রতারক ‘আইডল’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন প্রতারকের যে বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত, আমরা তদন্তে জেনেছি, সাহেদ করিমের মধ্যে সবগুলোই ছিল। যার ফলে খুব সহজে প্রতারণা করে মানুষ বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করতেন। সাধারণ মানুষ তার গুরুত্বপূর্ণ আবহ দেখে বিশ্বাস করতো।’
মোহাম্মদ সাহেদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য চালু করা ‘হটলাইন’ নম্বর এবং ইমেলে শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানিয়ে র্যাব। বিভিন্নভাবে প্রতারিত হওয়া ব্যক্তিরা র্যাবের কাছে এসব অভিযোগ জানিয়েছেন।