X
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৫ বৈশাখ ১৪৩২

৪৩ ‘অর্জন’ নিয়ে বিদায় নিচ্ছেন সাঈদ খোকন

শাহেদ শফিক
১৬ মে ২০২০, ১০:০০আপডেট : ১৬ মে ২০২০, ১৩:২২

পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর শনিবার বিদায় নিচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এই দীর্ঘ সময়ে নানা সমালোচনার পাশাপাশি তার রয়েছে বেশ কিছু অর্জনও। সংস্থাটির ১৯ পার্ক ও ১২টি খেলার মাঠ আধুনিকায়নসহ ৪৩টির বেশি ‘অর্জন’ রয়েছে বিদায়ী এ মেয়রের। আর এই বিষয়গুলোর কারণে ঢাকা দক্ষিণে নাগরিক সুবিধা বেড়েছে বলে মনে করছেন নগরবিশেষজ্ঞরা।

সাঈদ খোকন ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে নানা সমালোচনা থাকলেও মেয়র সাঈদ খোকন বেশি কিছু কাজ করেছেন নগরবাসীর জন্য। তার কাজগুলোর মধ্যে ‘জল সুবজে ঢাকা’ প্রকল্প অন্যতম। এই প্রকল্পের আওতায় ১৯টি পার্ক ও ১২টি খেলার মাঠকে বদলে দেওয়া হয়েছে।

নতুন রূপ দেওয়া মাঠ ও পার্কগুলা হচ্ছে- সিক্কাটুলির শহীদ বুদ্ধিজীবী খালেক সরদার পার্ক, গুলিস্তান পার্ক (শহীদ মতিউর পার্ক), নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা পার্ক, বংশাল ত্রিকোনাকার পার্ক, শরাফগঞ্জ বা মেয়র সাঈদ খোকন পার্ক, ওসমানী উদ্যান বা গোসসা নিবারণী পার্ক, আউটফল স্টাফ কোয়ার্টার শিশুপার্ক, মতিঝিল পার্ক, যাত্রাবাড়ি চৌরাস্তা পার্ক, মালিটোলা পার্ক, বাহাদুরশাহ পার্ক, পান্থপথ পার্ক, জোড়পুকুর মাঠ, বাসবো মাঠ, গোলাপবাগ খেলার মাঠ, কলাবাগান খেলার মাঠ, বাংলাদেশ মাঠ, সামসাবাদ খেলার মাঠ, শহীদ আব্দুল আলীম মাঠ, রসুলবাগ শিশু পার্ক, দেলোয়ার হোসেন খেলার মাঠ, বালুরঘাট খেলার মাঠ, শহীদনগর মিনি স্টেডিয়াম, নবাবগঞ্জ পার্ক, বশিরউদ্দিন পার্ক, গজমহল পার্ক, বকশীবাজার পার্ক, হাজারীবাগ পার্ক ও আজিমপুর শিশু পার্ক।

শহীদ আব্দুল আলীম খেলার মাঠ কফি হাউজ

ডিএসসিসি-র এসব মাঠ ও পার্কগুলোতে রয়েছে জাদুঘর, পাঠাগার, ব্যায়ামাগার, গ্রিন জোন, পাবলিক প্লাজা, লেডিস কর্নার, নেটে ক্রিকেট অনুশীলন, ফুটবল খেলার ব্যবস্থা, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, বসার বেঞ্চ, ওয়ার্কওয়ে, শিশু কর্ণার, ফুল বাগান, পানির ফোয়ারা, ওয়াটার বডি, ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের ভাস্কর্য, পাবলিক টয়লেট, ছাদবাগান করার মডেল, এলইডি লাইটিং সিস্টেম, পানি নিষ্কাশনের বিশেষ ব্যবস্থা, কফি হাউজ, ফুড কোর্ট, কার পার্কিং ও শিশুদের বিভিন্ন প্রকারের খেলনাসহ সব ধরনের আধুনিক ব্যবস্থা। এছাড়া পার্কগুলোতে হাতিরঝিলের মতো জলাধারের পাশাপাশি তৈরি করা হবে সবুজ বাগান ও বেষ্টনী। বিশিষ্ট স্থপতি রফিক আজমের প্রতিষ্ঠান সাতত-এর তত্ত্বাবধানে শতাধিক স্থপতির সমন্বয়ে পার্ক ও মাঠগুলোর নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে।

২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু মেট্রোরেল, জমি নিয়ে মামলা, উন্নত নকশা প্রণয়ন ও করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রকল্পের সময় বাড়িয়ে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে পার্কগুলোর প্রায় ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। উদ্বোধন শেষে ২০টির মতো পার্ক উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, প্রকল্পে নতুন দুটি পার্ক যুক্ত করায় কাজের অগ্রগতির শতকরা হার কমেছে। আগামীতে আরও একটি পার্ক যুক্ত করা হবে।

ভবনের ছাদে ‘প্রজাপতি আকৃতির পার্ক’

ডিএসসিসি-র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আসাদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পার্কগুলা বিশ্বমানের করে তৈরি করা হয়েছে। এতে সব শ্রেণির মানুষের জন্য সুবিধা রয়েছে। আমাদের কয়েকটি পার্ক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আলোচিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০টির বেশি পার্ক উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আমরা নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারতাম। কিছু জটিলতার কারণে কিছুটা সময় লেগেছে।

মাঠ ও পার্ক ছাড়াও আরও বেশ কিছু অর্জন রয়েছে সাঈদ খোকনের। যা দক্ষিণ সিটির নাগরিক সুবিধা বাড়িয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এলইডি বাতি:

একসময় দক্ষিণ সিটির সড়কগুলো ছিলো অন্ধকারে। পুরনো সোড়িয়াম বাতি অপসারণ করে সেখানে প্রায় ৫৬ হাজার এলইডি বাতি লাগিয়েছেন মেয়র। নতুন যুক্ত হওয়া ইউনিয়নগুলোতেও এই আলো ঝলমল করছে। ফলে ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও দুর্ঘটনা কমেছে দক্ষিণ সিটিতে। পাশাপাশি গভীর রাতেও নারীদের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত হয়েছে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

সড়কে এলইডি বাতি

এলইডি বিলবোর্ড:

নগরীর সড়কের ওপর ঝুঁকিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে থাকা বিলবোর্ডগুলো অপসারণ করে সেখানে বিভিন্ন আকারের ৭৩০টি এলইডি বিলবোর্ড লাগানো হয়েছে। এতে করপোরেশনের রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি সড়কের সৌন্দর্যও বেড়েছে। কমেছে ঝড়ে বিলবোর্ড উপড়ে বা খুঁটি ভেঙে প্রাণহানি বা সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি।

যাত্রী ছাউনি ও ট্রাফিক পুলিশ বক্স:

সড়কে নগরবাসীকে স্বাচ্ছন্দ্য দিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছাউনি ও বাস স্টপেজ নির্মাণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এরই মধ্যে ৪০টি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশের কথা চিন্তা করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ৫৫টি স্বচ্ছ ট্রাফিক পুলিশ বক্সও নির্মাণ করে দিয়েছে সংস্থাটি। ফলে সড়কে পথচারীদের জন্য নিরাপত্তা বেড়েছে বলে মনে করছেন নগর বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া যানজট নিরসনে ৪টি ইন্টারসেকশন ও ৩০টি বাস স্টপেজ নির্মাণ করা হয়েছে।

সড়ক মোড়ে পুলিশের জন্য তৈরি করা ট্রাফিক পুলিশ বক্স

বঙ্গবন্ধু জলবায়ু উদ্ধাস্তু আশ্রয় কেন্দ্র:

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উদ্বাস্তু হয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া অসহায় নারী, শিশু, বৃদ্ধরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের জন্য সদরঘাটের নিজস্ব ভবনে একটি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে শিশুদের পড়াশোনা, থাকা-খাওয়া ও নারীদের স্বাবলম্বী হতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

অনলাইন হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স প্রদান:

অতি সহজেই ঘরে বসে হোল্ডিং ট্যাক্স এবং ট্রেড লাইসেন্স ফি পরিশোধ করতে ডিএসসিসি-র কার্যক্রম অনলাইনের আওতায় আনা হয়েছে। এতে দুর্নীতির পাশাপাশি নাগরিকদের হয়রানি কমেছে।

আউটফল স্টাফ কোয়ার্টার শিশু পার্ক ও কমিউনিটি সেন্টার

কবরস্থান ও শ্মশানঘাট:

আজিমপুর কবরস্থানের উন্নয়নের পাশাপাশি একটি আধুনিক মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া আজিমপুর, জুরাইন ও মুরাদপুর কবরস্থানের আধুনিকায়ন করা হয়েছে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এসটিএস:

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করতে এরই মধ্যে ৩০টির মতো সেকেন্ডারি ট্রন্সফার স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে। এসব স্থানে নগরীর বাসাবাড়ি থেকে আসা বর্জ্য আধুনিক প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থাপনা করে ল্যান্ডফিলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আজিমপুর কবস্থান ও মেয়র মোহাম্মদ হানিফ জামে মসজিদ

পাবলিক টয়লেট নির্মাণ:

মেয়র সাঈদ খোকনের মেয়াদকালে ডিএসসিসি এলাকায় ৪৩টি আধুনিক গণশৌচাগার বা পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পথচারীদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে পাঁচটি প্রস্রাবখানাও। টয়লেটগুলোতে নারী ও পুরুষদের জন্য আলাদা চেম্বার, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ খাবার পানি, সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সুবিধা, স্যানিটারি ন্যাপকিন, উন্নতমানের আয়না, সিসি ক্যামেরাসহ পেশাদার পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও নারী কেয়ারটেকারের ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিবন্ধীদের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে জুতা খুলে ভেতরে রাখা স্যান্ডেল পরে ব্যবহার করতে হয় এসব শৌচাগারে।

কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ:

স্বল্প ব্যয়ে সামাজিক নানা অনুষ্ঠানাদি সম্পন্নের লক্ষ্যে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত ৬তলা বিশিষ্ট মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া হাজারীবাগে খলিল সরদার কমিউনিটি সেন্টার, লালবাগে শায়েস্তা খান কমিউনিটি সেন্টার এবং নাজিমউদ্দিন রোডে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ কমিউনিটি সেন্টার ৩টির নির্মাণ শেষের পথে।

ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ:

পথচারীদের নিরাপদে সড়ক পারাপারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই ৯টি ফুটওভার ব্রিজ উদ্বোধন করা হয়েছে। মেগা প্রকল্পের আওতায় নতুন আরও ৭টি ফুটওভার ব্রিজের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া ১৬টি ফুটওভার ব্রিজের সংস্কার করা হয়েছে।

পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস:

পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য ধলপুর, লালবাগ ও গণকটুলীতে ছয়তলা বিশিষ্ট ৬টি ক্লিনার কলোনি নির্মাণ করা হয়েছে। গণকটুলিতে আরও ৬টি, মিরনজল্লা ক্লিনার কলোনিতে ৩টি এবং ধলপুরে ২টি ছয়তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া আরও ১৩টি ১০ তলা বিশিষ্ট ভবনে সর্বমোট এক হাজার ২১৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

নবাবগঞ্জ পার্ক

৮ ইউনিয়নের উন্নয়ন:

৭৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন যুক্ত হওয়া শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল, সারুলিয়া ইউনিয়নের ১৬৭ দশমিক ৮৮ কিলোমিটার রাস্তা, ৮দশমিক ৮১ কিলোমিটার ফুটপাদ, ১৭১ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার নর্দমা, ১৪৩ দশমিক ৪৭ কিলোমিটার রাস্তায় এলইডি লাইট, ৭০৬৩টি বৃক্ষরোপণসহ নানা অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। আর ৫১৫ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মান্ডা, ডেমরা, নাসিরাবাদ ও দক্ষিণগাঁও ইউনিয়নের জন্য  ৮১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার রাস্তা, ৬১দশমিক ৭৯ কিলোমিটার নর্দমা, ৭ দশমিক ৯৫ কিলোমিটার ফুটপাত ও ১২টি আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

জোড়পুকুর খেলার মাঠ

যা বললেন মেয়র:

নিজের কাজের মূল্যায়নের দায়িত্ব নগরবাসীকে তুলে দিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, কখনও অবহেলা করিনি। নগরবাসীর জন্য যা যা করা দরকার তাই করেছি। নাগরিকদের অন্যতম চাহিদাগুলো পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। খেলার মাঠ ও পার্কগুলো বিশ্বমানের করে দিয়েছি। জলবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কিছুটা হলেও শৃঙ্খলা এনেছি। ডিজিটাল এলইডি বাতি ও বিলবোর্ডে নগরকে বদলে দিয়েছি। অর্থনৈতিকভাবে অনেকটা ‘পঙ্গু’ সংস্থাকে নিয়ে যে উন্নয়ন কাজ করেছি তা অবশ্যই নগরবাসী মনে রাখবে।

তিনি বলেন, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ঋণভারে জর্জরিত কোষাগার নিয়ে নগর ভবন চালিয়েছি। ভঙ্গুর অবস্থায় দায়িত্ব নিয়েছিলাম, সেখান থেকে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছি। প্রতিশ্রুতির চেয়ে বাস্তবায়নের সংখ্যাই বেশি। মেয়র হিসেবে দায়িত্ব শেষ হতে চলেছে। দায়িত্বকালে ৫ বছরে যে পরিমাণ কাজ হয়েছে বিগত এক যুগেও সে কাজ হয়নি। যেসব উন্নয়ন কাজ হয়েছে তার মূল্যায়নের দায়িত্ব নগরবাসীর হাতে ছেড়ে দিলাম। সবসময় নাগরিকদের পাশে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকবো।

একটি পার্কের কফি হাউজের গ্যালারি

নগর বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য:

মেয়র খোকনের ৩১ মাঠ ও পার্কের নকশা প্রণেতা স্থপতি রফিক আজম বলেন, পার্কগুলো নিয়ে মেয়র খোকন এমন একটি চিন্তার জন্ম দিয়েছেন যা নগরবাসীর জন্য খুবই উপযোগী ছিল। সেই চিন্তার বাস্তবায়ন করে পার্কগুলোকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়াটাই ছিলো একটি সাহসী উদ্যোগ।  এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা এসেছে। রক্ষণাবেক্ষণে অর্থনৈতিক সংযোগের বিষয় ছিল। খরচ যথেষ্ট বেড়েছে। কিন্তু তিনি পিছিু হটেননি। সাহস দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি এই চিন্তাগুলো উনার সবচেয়ে বড় দক্ষতা এবং যোগ্যতা। আর কাজ করার ক্ষেত্রে যে একটা স্বাধীনতা সেটা উনি দিয়েছেন। এখানে যারা সম্পৃক্ত হয়েছে তারা সবাই শহরকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ কাজ করেছেন। চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াটা তিনি দেখিয়ে গেছেন। উনার দুর্বলতা থাকতে পারে, তবে উনি যা করেছেন তা ঢাকার জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে।

পুরান ঢাকার শহীদ আব্দুল আলীম খেলার মাঠ

নগরপরিকল্পনাবিদ মোবাশ্বর হোসেন বলেন,  মেয়র খোকনের মাঠ ও পার্কগুলোর উন্নয়নকাজের সঙ্গে আমি জড়িত ছিলাম। এই পার্কগুলো বিশ্বমানের করে তৈরি করা হয়েছে। যা নগরবাসীর চাহিদা পূরণ করবে। আর একজন মেয়রের জন্য ৫ বছর যথেষ্ট সময় নয়। এই সময়ের মধ্যে খোকন যেসব কাজ করেছেন তা অনেক। প্রত্যেকটি মাঠ ও পার্ক উন্মুক্ত হলে দক্ষিণের পরিবর্তন দৃশ্যমাণ হতো।

১৬ মে মেয়াদ শেষ হচ্ছে দক্ষিণ সিটির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের। এদিন দায়িত্বগ্রহণ করবেন নবনির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

/এমপি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সুন্দরবনের দস্যু করিম শরিফ বাহিনীর দুই সহযোগী অস্ত্রসহ আটক
সুন্দরবনের দস্যু করিম শরিফ বাহিনীর দুই সহযোগী অস্ত্রসহ আটক
কুষ্টিয়া সীমান্তে ফেনসিডিলসহ ৩ ভারতীয় মাদক কারবারি আটক
কুষ্টিয়া সীমান্তে ফেনসিডিলসহ ৩ ভারতীয় মাদক কারবারি আটক
কর্মকর্তার বিয়ে, তাই কাঙাল হরিনাথের প্রয়াণ দিবসে ছিল না কোনও আয়োজন
কর্মকর্তার বিয়ে, তাই কাঙাল হরিনাথের প্রয়াণ দিবসে ছিল না কোনও আয়োজন
৮০ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে শীর্ষ দুইয়ে ব্রিটিশ বাংলাদেশি উদ্যোক্তা আনিসা
৮০ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে শীর্ষ দুইয়ে ব্রিটিশ বাংলাদেশি উদ্যোক্তা আনিসা
সর্বাধিক পঠিত
পরীক্ষা ভালো হয়নি, বাড়ি ফেরার পর ঘরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ
পরীক্ষা ভালো হয়নি, বাড়ি ফেরার পর ঘরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ
সন্তান বিক্রি করে জুয়েলারি ও মোবাইল কিনেছেন মা
সন্তান বিক্রি করে জুয়েলারি ও মোবাইল কিনেছেন মা
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় পুরস্কারের সম্ভাব্য তালিকায় যারা
জাতীয় পুরস্কারের সম্ভাব্য তালিকায় যারা