শুরু থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনাভাইরাস শনাক্তের কাজ করে আসা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) আর নমুনা সংগ্রহ করবে না। এখন থেকে কাজটি করবে স্বাস্থ্য অধিদফতর। আইইডিসিআর প্রাথমিকভাবে যেভাবে নমুনা সংগ্রহ করছিল, তা এখন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমন্বয়ে অন্যান্য ল্যাবরেটরি এবং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করা হবে। শুধু মান নিয়ন্ত্রণের জন্য এসব প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পাঠানো একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্যম্পল পরীক্ষা করে যাচাই করবে আইইডিসিআর।
আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, 'আইইডিসিআর এখন থেকে শুধু তাদের গবেষণার কাজ করবে।'
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত সচিব ও কোভিড-১৯ বিষয়ক মিডিয়া সেলের প্রধান হাবিবুর রহমানও।
হাবিবুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'তাদের পক্ষে অসংখ্য টেস্ট করতে গিয়ে স্যাম্পল কালেকশন একটা বার্ডেন হয়। যেটা তাদের জন্য ভালো হয়, সেটাই তারা করবে। তবে অনেকেই আছেন যারা কোথাও যেতে পারবেন না, গিয়ে তাদের নমুনা নিয়ে আসার সুযোগ রাখার জন্য আমি অনুরোধ করবো।'
এদিকে আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'রোগীর রোগ নির্ণয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা প্রতিষ্ঠানের কাজের মধ্যে পড়ে না, কিন্তু অ্যাপিডেমিওলজিক্যাল সার্ভিলেন্সের অংশ হিসেবে নমুনা সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। যার কারণে নমুনা পরীক্ষার দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদফতর নিয়েছে, নমুনা পরীক্ষা হবে অন্যান্য ল্যাবরেটরিতে।'
এসব কাজের ধারা নতুন করে বিন্যাস করা হয়েছে। স্যাম্পল সংগ্রহ এবং পরীক্ষা প্রাথমিকভাবে অন্য ল্যাবরেটরি করবে এবং আইইডিসিআর কোয়ালিটি কন্ট্রোল করবে।
এ ব্যাপারে ড. মুশতাক হোসেন বলেন, 'মাঠ পর্যায় থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রভৃতি কারণে রেজাল্ট দিতেও দেরি হচ্ছে। নমুনা সংগ্রহ করে সব কাজ করা আইইডিসিআর-এর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। কোয়ালিটি চেক করাও সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের জনবল বাড়েনি; কিছু ভলান্টিয়ার, বিভিন্ন সংস্থা, সরকারও ডেপুটিশনে কয়েকজন দিয়েছে, কিন্তু সেটা পর্যাপ্ত না।'
তিনি আরও বলেন, 'কতগুলো বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজ পেন্ডিং রয়েছে। অন্যান্য দেশ কোভিড নিয়ে অনেক তথ্যবহুল গ্রাফ দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা অতোটা করতে পারছি না। শনাক্ত হওয়া রোগীদের সব তথ্য বিশ্লেষণ করে সেগুলো প্রকাশ করবে আইইডিসিআর।'