‘তরুণ মন্ত্রিসভা’ শীর্ষক বাংলা ট্রিবিউন বৈঠকিতে সমাজ গবেষক অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন, ‘এই মন্ত্রিসভার সক্ষমতার বেশ কয়েকটি দিক আছে। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো, যেখানে উন্নয়নের প্রধান দায়িত্ব অর্পিত, সেখানে খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। মেগা প্রোজেক্ট সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোতে আগের মন্ত্রীরাই আছেন। সেখানে পরিবর্তন হয়নি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই মন্ত্রিসভার তরুণ সদস্যদের অনেকেরই অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে। অনেক মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী নেই। ফলে সেখানে তাকে পুরোটাই সামলাতে হবে। এটা একটা চ্যালেঞ্জ। তাদের দায়িত্ব দেওয়া ভুল হয়েছে, ঠিক হয়েছে এরকম কোনও অভিমত দিতে চাই না। সময় বলবে এটা ঠিক হয়েছে কিনা।
‘আমার ধারণা, নতুন মন্ত্রীদের অনেকে সফল হবেন। অনেকেই নতুন নেতা হিসেবে সামনে বেরিয়ে আসবেন। আবার কোনও কোনও জায়গায় আমরা সেরকম সফল নাও হতে পারি। তবে অভিজ্ঞতার একটি মূল্য আছে সব জায়গায়। যদি অভিজ্ঞতাকে তারুণ্যের সঙ্গে সমন্বয় করা যায় তাহলে ভালো হয়। তরুণ এবং অভিজ্ঞতার ভারসাম্য যথাযথ হওয়াটা সাফল্যের চাবিকাঠি। এক্ষেত্রে আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী একটু ঝুঁকি নিয়েছেন। ভুল কিংবা সঠিক– সেটা এখনও বলার সময় আসেনি।’