X
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
১৫ বৈশাখ ১৪৩২
বিশেষ সাক্ষাৎকারে সমন্বয়ক আবদুল কাদের

সংকটে কথা বলার জাতীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে থাকবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

আবিদ হাসান
১০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:০০আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৪৪

অধিকার নিয়ে ও সংকটে কথা বলার জন্য জাতীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে থাকবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সব সময়ই সবাইকে নিয়ে ইনক্লুসিভ হয়ে আন্দোলন করবে তারা। এই কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল কাদের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক, তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে  বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলা ট্রিবিউন: যে প্রত্যাশা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগ্রাম করেছিল, সেটি পূরণ হচ্ছে কিনা?

আবদুল কাদের: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন মূলত সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে। এরপর সরকার বা রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়টি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ওপর এসে পড়ে। কিন্তু আমরা যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেছিলাম, অন্যায়, নিপীড়ন ও নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে। কেউ কথা বলতে পারছিল না, কথা বলার অধিকার ছিল না, এ সব কিছু এখনও পুরোপুরি অর্জিত হয়নি। তবে অর্জনের একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কেউ অন্যায়ের শিকার হলে সে বলতে পারছে। মানুষ তার বাকস্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে। সে তার বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছে। মানুষের ভেতর একটা প্রত্যাশার জায়গা তৈরি হয়েছে।

বাংলা ট্রিবিউন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কতদিন সময় দিতে চায়?

আবদুল কাদের: আন্দোলনে মানুষকে পাখির মতো গুলি করার ফলেই কিন্তু দাবি এক দফায় রূপ নিয়েছিল। আমরা যে সরকার পতনের এক দফা দিয়েছিলাম, সেটির প্রেক্ষাপট আসলে ছিল শুধু শেখ হাসিনার পতন নয়, পুরো ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার বিলোপ। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার পরেও গত ৫০ বছর ধরে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা আমরা পাইনি। বিভিন্ন ব্যবস্থায় ফ্যাসিস্ট মানসিকতা বিদ্যমান। এবং যেই সংবিধান, এই সংবিধানের মাধ্যমেই একজন মানুষ কীভাবে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠেছে আমরা সেটা দেখেছি। আওয়ামী লীগের গত ১৬ বছরের আমল বাদ দিলেও তারও আগে আমরা একতরফা নির্বাচন দেখেছি। কারণ ফ্যাসিবাদটা সিস্টেমের মধ্যেই রয়েছে। আমরা সেই সিস্টেম পরিবর্তন করতে চাই। সংবিধানসহ সব ব্যবস্থায় সিস্টেম পরিবর্তন করে ফ্যাসিবাদ বিলুপ্ত করা পর্যন্ত আমরা সময় দিতে চাই। তবে অতি শিগগিরই সেটা করে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আমাদের চাপ থাকবে।

বাংলা ট্রিবিউন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জেলায় জেলায় সফর করেছেন। অনেকেই বলছেন, প্ল্যাটফর্মটাকে আপনারা রাজনৈতিক দলে রূপ দিতে চাচ্ছেন। আপনার ভাবনা কী বিষয়টি নিয়ে?

আবদুল কাদের: জুলাইয়ের ১ তারিখে যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানার তৈরি হয়, তখন আমাদের উদ্দেশ্য ছিল কোটা সংস্কারের পর এ ব্যানার বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কিন্তু কোটা সংস্কার রূপ নেয় রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনে। এর পরবর্তীকালে জুলাই বিপ্লবের পর যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল, সেটি নিয়ন্ত্রণেও এই ব্যানার কাজ করে।  রাষ্ট্রীয় সংস্থা বলেন, ধর্মীয়-রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা বলেন, সব কিছুই রক্ষার জন্য এ ব্যানারের অধীনে কাজ হয়েছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন কীভাবে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিলো সে বিষয়েও কথা বলেছেন আবদুল কাদের

আমরা জেলায় জেলায় সফর করেছি। এখানে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল–– বিভিন্ন জায়গায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করছে এবং একইসঙ্গে পুলিশ-প্রশাসনও ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় পাওয়ার পরে থরথর করে কাঁপছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না। যদিও ৫ তারিখের (আগস্ট) পরে আমি একটি ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া বাকি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছি। কিন্তু সেটা অনেকেই না মেনে আরও অনেক কমিটি দিয়েছে। এই ব্যানার ব্যবহার করে যারা অপরাধ করছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারছি না।

সে জায়গা থেকে আমরা মনে করেছি, যদি আমাদের একটা নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম থাকে তাহলে আমরা বলতে পারবো, আমাদের এতজন নির্দিষ্ট সমন্বয়ক আছে। কারও বিরুদ্ধে এই ব্যানার ব্যবহার করে অপকর্ম করার অভিযোগ আসলে, আমরা দেখতে পারবো সে আসলেই আমাদের ব্যানারের কিনা। ব্যানারে হলে আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে পারবো এবং একইসঙ্গে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবো।

আর আমরা বলছি, এই প্ল্যাটফর্ম কখনোই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হবে না। এটি জাতীয় অধিকার নিয়ে এবং সংকটে কথা বলার জন্য জাতীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে থাকবে। কোটা সংস্কার আন্দোলন যেভাবে ইনক্লুসিভ হয়েছিল ডান-বাম সবাইকে নিয়ে, যতদিন টিকে থাকবে ততদিন এভাবেই ইনক্লুসিভ হয়ে সবাই এই প্ল্যাটফর্মে কাজ করবে। কেউ যদি রাজনীতি করতে চায়, তাহলে অবশ্যই তাকে প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে গিয়ে রাজনীতি করতে হবে।

বাংলা ট্রিবিউন: ৫ আগস্টের আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সাধারণ মানুষের যে আস্থা ছিল সেটি এখনও আছে কিনা?

আবদুল কাদের: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মানুষের মাঝে কেন আস্থার জায়গা তৈরি হয়েছিল–– আমরা দেখেছি, দীর্ঘদিন ধরে মানুষ কথা বলতে পারছিল না, তাদের ভোটাধিকারই ছিল না। ভিন্ন দলে ভোট দেওয়ার কারণে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে, আমরা নোয়াখালীতে দেখেছি। মানুষ নানান বঞ্চনার শিকার হয়েছিল, নিজের অধিকারের কথা বলতে পারছিল না। সেটা নিয়ে রাস্তায় নেওয়ার জন্য মানুষের মাঝে আস্থার জায়গা বিরোধী দলগুলো তৈরি করতে পারেনি। সেটি করেছে ছাত্ররা।

আমরা দেখি, বিভিন্ন সময় আন্দোলনের ফল খাওয়ার জন্য একটা পক্ষ ওঁত পেতে থাকে। আমরা ১৯৭১ এর যুদ্ধের পরও দেখেছি, ২৪ এর আন্দোলনের পরেও আমরা সেটা দেখছি। আন্দোলন ছাত্রশক্তি শুরু করলেও এখানে ছাত্রদল, শিবিরসহ সব দলের নেতাকর্মী ছিল। যারা এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অপকর্ম করছে, তাদের অনেকের সমন্বয়ক হওয়ার আগে অন্য একটা রাজনৈতিক পরিচয় আছে এবং তাদের বিরুদ্ধে তাদের সংগঠন থেকে অনেক সময় ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে। আস্থার জায়গা তৈরি হওয়ার পর যখন অনেকেই অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন, এ কারণেই কিছুটা আস্থাহীনতার জায়গা তৈরি হয়েছে বলে আমি মনে করছি।

বাংলা ট্রিবিউন: কেউ কেউ মনে করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এখন বিলুপ্ত করা উচিত। তাহলে এটি ব্যবহার করে কেউ আর অনৈতিক সুবিধা নিতে পারবে না। আপনি বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

আবদুল কাদের: আমরা মনে করি, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটা প্ল্যাটফর্ম থাকা উচিত। আমরা জেলায় জেলায় যে সফর করেছিলাম, এখানে দায়িত্বশীল অনেকে রয়েছেন, যারা সরকারের সঙ্গে কাজ করছেন, তারা আমাদের বলছেন বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে একটা জাতীয় প্ল্যাটফর্ম থাকা উচিত। সুযোগসন্ধানী গোষ্ঠীর অনৈতিক আচরণ নিয়ন্ত্রণে একটা প্ল্যাটফর্ম থাকা উচিত। একটা জাতীয় প্ল্যাটফর্ম না থাকলে আমরা যে বিপ্লব করেছি, সেটা বেহাত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যতদিন না জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ না হচ্ছে, ততদিন প্ল্যাটফর্ম থাকা উচিত।

বাংলা ট্রিবিউন: ৯ দফার মধ্যে অন্যতম ছিল লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ। বিষয়টিকে নিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে আপনারা কী ভাবছেন?

আবদুল কাদের: ক্যাম্পাসভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি বললেই আমাদের সামনে ভেসে ওঠে  হল দখলের রাজনীতি। গণরুম-গেস্টরুম কালচার, ক্লাস-পরীক্ষা রেখে ‘ভাই’কে প্রটোকল দেওয়া। এখন আমাদের মনে হয়, এই হল দখলের রাজনীতির লাগাম টেনে ধরা উচিত। বর্তমানে আমরা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কথা বলছি, সেটি হবে এই ধরনের রাজনীতির বিরুদ্ধে। হলগুলোতে রাজনৈতিক দলের কোনও কমিটি থাকতে পারবে না। হল চলবে ছাত্র সংসদের দ্বারা ও প্রশাসনের সিদ্ধান্তে। তারা চাইলে ক্যাম্পাসভিত্তিক কমিটি রাখতে পারে এবং তাদের কার্যপরিধিও শিক্ষার্থীদের কাছে পরিষ্কার করতে হবে। হলে কমিটি দিলে হল দখল হবে, সিটের রাজনীতি ফিরে আসবে, গরিব-মধ্যবিত্ত শিক্ষার্থীরা আবারও জিম্মি হয়ে পড়বে। তাই হলগুলোতে কোনও রাজনৈতিক দল কমিটি দিতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের অধিকার, এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি, স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য ছাত্র সংসদ কাজ করবে। ক্যাম্পাসের পরিবেশ সেই জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় কিনা-আমাদের জায়গা হবে সেটাই।

বাংলা ট্রিবিউন: আন্দোলনে সমন্বয়ক প্যানেলে ইসলামী ছাত্র শিবিরের শতাধিক লোক রয়েছে এমন খবর চাউর আছে। বিষয়টি নিয়ে আপনারা কী বলছেন?

আবদুল কাদের: আমার কাছে বিষয়টি হাস্যকর মনে হয়। আমরা দেখতে পেয়েছি, কয়েকদিন আগে শিবির কমিটি দিয়েছে, সেখানে তাদের কমিটি হচ্ছে ১৪ জনের। কিন্তু আমাদের কমিটিতে শতাধিক শিবির কোনোভাবেই থাকতে পারে বলে মনে হয় না। এটা মূলত একটা ফেক পেজ থেকে ছড়ানো হয়েছে। আমরা যে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সমন্বয়ক কমিটি দিয়েছি, এখানে আমাদের গণতান্ত্রিক ছাত্র-শক্তির লোক ছিল, ছাত্র অধিকার পরিষদের লোক ছিল। তাদের আমরা আগে থেকেই চিনতাম। এতজন শিবিরের লোক থাকতে পারে বলে আমার মনে হয় না।

বাংলা ট্রিবিউন: আন্দোলনের প্রথম দিকে সরকার পতনের ডাক দেওয়ার ভাবনা আপনাদের ছিল কিনা? ঠিক কবে এবং কীভাবে সেই ভাবনা আসে?

আবদুল কাদের: আমাদের এই আন্দোলন শুরুতে শুধু সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে ছিল। আমরা শুরু থেকেই শুধু কোটা সংস্কারের জন্য সফট এবং হার্ড কর্মসূচির মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলাম। সেটা কখনও অবস্থান, আবার কখনও ছিল স্মারকলিপি প্রদান। কিন্তু সরকার সবসময়ই নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করে গেছে এবং হাইকোর্টের কাঁধে বন্দুক রেখে খেলতে চেয়েছে। সরকার বারবার বলছিল হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত, কিন্তু এটা ছিল সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত।

এরপর প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকার’ বলে শব্দ বন্ধ চয়ন করলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীরা বিদ্রোহ শুরু করে। তারা আয়রনির জায়গা থেকে হোক কিংবা প্রতিবাদের জায়গা থেকে হোক বা যেমনই হোক, নিজেকে রাজাকার বলে স্লোগান দিতে থাকে। এরপর ছাত্রলীগের হামলার মাধ্যমে আন্দোলন আর বেশি বিদ্রোহী রূপ নেয়। এরপর আবু সাঈদসহ ছয় জনের মৃত্যুর পর সেদিন রাতে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসি। এদিকে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকে আমাদের চাপ দিতে থাকে, আমরা যেন বলি সরকারের সঙ্গে আমরা বসতে রাজি হয়েছি, সরকারও সম্মত হয়েছে। কিন্তু আমাদের বৈঠকে আলোচনা প্রশ্ন ওঠে এই ছয় শহীদের বিনিময়ে শুধু কোটা সংস্কার নাকি, অন্য কিছু।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদের

তখন আমরা সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেই এটি কোনোভাবেই আর কোটা সংস্কারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তারপর আমরা যেই ৯ দফা দেই, এখানে প্রথম দফায় আমরা বলেছি এ সব হত্যার দায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। প্রধানমন্ত্রী হত্যার দায় নিয়ে ক্ষমা চাইলে নৈতিকভাবে তিনি আর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন না। এখানে মূলত আমাদের সরকার পতনের দফা শুরু হয়। আমাদের প্রধান চার সমন্বয়ককে গ্রেফতার করার পরে আমরা চার জন ছিলাম ফ্রন্টলাইনে। এরপর যখন আমরা সব কর্মসূচি দিয়েছিলাম, তখন সাধারণ মানুষই আমাদের বলছে আরও হার্ড কর্মসূচি দেওয়ার জন্য। সফট  কর্মসূচির জন্য তারাই আমাদের সমালোচনা করছিল। তারা নিজেরাই বলছিল যে, তারা সরকার পতনের আন্দোলনে নামতে প্রস্তুত। তাদের প্রত্যাশা ছিল, সেটাকে আমরা আন্দোলনের রূপ দিয়েছি।

বাংলা ট্রিবিউন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মধ্যে আসলে সম্পর্কটা কেমন?

আবদুল কাদের: আন্দোলন পরবর্তী আমাদের উদ্দেশ্য ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। জাতীয় নাগরিক কমিটিও সে উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করছে। তাদের সঙ্গে আমাদের উদ্দেশ্যগত একটা সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু সাংগঠনিক আসলে কোনও সম্পর্ক নেই।

বাংলা ট্রিবিউন: আপনাকে ধন্যবাদ সময় দেওয়ার জন্য।

আবদুল কাদের: আপনাকেও ধন্যবাদ।

/এফএস/
সম্পর্কিত
আদালতে সাবেক আইনমন্ত্রীকে কিলঘুষি, বাধা না দিয়ে পুলিশের দৌড়
রাজবাড়ীর সাবেক এমপি কেরামত আলীর রিমান্ড
আশুলিয়ায় ৬ লাশ পোড়ানোর মামলা: ‘হত্যাকাণ্ডের ভিডিও’ তদন্ত সংস্থার হাতে
সর্বশেষ খবর
ওসমানী মেডিক্যালে রোগীর স্বজনকে চিকিৎসকের লাথি, তদন্তে কমিটি
ওসমানী মেডিক্যালে রোগীর স্বজনকে চিকিৎসকের লাথি, তদন্তে কমিটি
ক্ষুধার্ত গাজাবাসীদের ভিড় কমিউনিটি কিচেনে, খাবারের জন্য লড়াই
ক্ষুধার্ত গাজাবাসীদের ভিড় কমিউনিটি কিচেনে, খাবারের জন্য লড়াই
‘আন্ডাররেটেড’ তাইজুল, ‘এক টেস্ট দেখে যারা সমালোচনা করে, মনে হয় না তারা খেলা বোঝে’
‘আন্ডাররেটেড’ তাইজুল, ‘এক টেস্ট দেখে যারা সমালোচনা করে, মনে হয় না তারা খেলা বোঝে’
রাজধানীতে আ.লীগের সাবেক এমপিসহ গ্রেফতার ৭
রাজধানীতে আ.লীগের সাবেক এমপিসহ গ্রেফতার ৭
সর্বাধিক পঠিত
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন মোদি: আল জাজিরাকে ড. ইউনূস
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন মোদি: আল জাজিরাকে ড. ইউনূস
‘আমার স্বামীর কোনও দোষ নাই, শুধু আ.লীগ করে বলে মাইরা ফেলাইছে’
‘আমার স্বামীর কোনও দোষ নাই, শুধু আ.লীগ করে বলে মাইরা ফেলাইছে’
ইউআইইউ বন্ধ ঘোষণা
ইউআইইউ বন্ধ ঘোষণা
প্রশাসনে অস্থিরতা কাটছেই না, বাড়ছে ক্ষোভ-অসন্তোষ
প্রশাসনে অস্থিরতা কাটছেই না, বাড়ছে ক্ষোভ-অসন্তোষ
ধর্ষণের অভিযোগে ইমামকে গণপিটুনি, কারাগারে মৃত্যু
ধর্ষণের অভিযোগে ইমামকে গণপিটুনি, কারাগারে মৃত্যু