প্রবীণ বৃদ্ধা সোনাবুড়া (৮০)। স্বাধীনতার ১৫ দিন পর ভোলা থেকে রাজধানীতে এসে ঠাঁই নিয়েছিলেন। প্রথমে রায়ের বাজার পরে মোহাম্মদপুর এলাকায় বসবাস শুরু করেন। রামচন্দ্রপুরে খালের পাড়ে তিনি যখন বসবাস শুরু করেন, তখন আশেপাশে কেবল পানিই ছিল।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মোহাম্মদপুরের রামচন্দ্রপুর খাল ভরাট করে ও সরকারি খাস জমির ওপর গড়ে ওঠা বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানে রিকশা গ্যারেজ, রাজনৈতিক দলের স্থানীয় কার্যালয়, বাসাবাড়ি ও আলোচিত খামার ‘সাদিক অ্যাগ্রো’র কিছু অংশ ভাঙা পড়েছে। এই উচ্ছেদে ভেঙে ফেলা হয়েছে সোনাবুড়ার একমাত্র বসবাসের ঘরটিও।
বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে সোনাবুড়া জানান, তার বয়স ৮০ বছর। তিনি ব্রিটিশ, পাকিস্তান শাসন থেকে শুরু করে স্বাধীনতাও নিজ চোখে দেখেছেন।
আলাপে জানা যায়, সোনাবুড়ার স্বামী নেই। একমাত্র মেয়ের বিয়ে হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে মোহাম্মদপুরে বাস করছেন। মানুষের সাহায্য নিয়ে তিনি দৈনন্দিন জীবন পরিচালনা করেন। ঘর হারানোয় তিনি এখন অনেকটাই অসহায়। বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপে তার উদাসী জবাব, ‘কী হবে এখন? কী করবো, কোথায় থাকবো।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোতাকাব্বীর আহমেদ রামচন্দ্রপুর খাল অভিযানে নেতৃত্ব দেন।