এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় রাজধানীর অভয় দাস লেনের তমা অটো এলপিজি স্টেশনসহ ৯টি স্থাপনাকে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে করপোরেশন পরিচালিত সাতটি ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) করপোরেশনের রামপুরার জি ও এফ ব্লক, ১ নম্বর রোড ও আশপাশের এলাকা, হাজারীবাগ পার্ক সংলগ্ন এলাকা, টিপু সুলতান রোড, অভয়দাস লেন, গোয়ালনগর, ইংলিশ রোড, তাতীবাজার সংলগ্ন, মান্ডা, গ্রিন মডেল টাউন, মুগদা, দনিয়া, যাত্রাবাড়ী, জনতাবাগ, পলাশপুর ও সংলগ্ন এলাকায় এসব অভিযান চালানো হয়।
ডিএসসিসি ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের অভয় দাস লেন এবং ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের টিপু সুলতান রোড এলাকায় ৪৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন সংস্থাটির পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী নাহিদ ইভা। অভিযানকালে তমা অটো এলপিজি স্টেশনের অভ্যন্তরে অবস্থানরত লরির খোলা জায়গায় এডিস মশার লার্ভা পান তিনি। আদালত অভয় দাস লেনে অবস্থিত তমা অটো এলপিজি স্টেশন কর্তৃপক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও আরও দুটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় আরও ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
৩ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুরার জি ও এফ ব্লক, ১ নম্বর রোড ও আশপাশের এলাকায় ৭২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান চালান দুই নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ। এ সময় একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোসেন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের হাজারীবাগ পার্ক সংলগ্ন এলাকায় ৭২টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান চালান। একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. দেলোয়ার হোসেন ৪ নম্বর অঞ্চলের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালনগর, ইংলিশ রোড ও তাতীবাজার এলাকায় ৬২টি স্থাপনা ও বাসাবাড়িতে অভিযান চালান। আদালত এ সময় তিনটি স্থাপনায় সামান্য মশার লার্ভা পান। আগামীতে যেন এডিস মশার প্রজননস্থল সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করেন আদালত। ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের মান্ডা, গ্রিন মডেল টাউন, মুগদা এলাকায় ৫৫টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন সাত নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান। একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন তিনি। এছাড়া ১০টি বাড়ির মালিককে সতর্ক করেন।
৯ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃষ্টফার হিমেল বিছিল ৬২ নম্বর ওয়ার্ডের যাত্রাবাড়ী, দনিয়ার এলাকায় ৩০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান চালান। একটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় এক মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। অঞ্চল ১০ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াছিন ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের জনতাবাগ, পলাশপুর ও সংলগ্ন এলাকায় ৩৭টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান চালান। আদালত এ সময় দুটি স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় দুই মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
আজকের অভিযানে মোট ৩১১টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া এডিস মশার প্রজননস্থল যেন সৃষ্টি না হয়, সে জন্য জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।