জুলাই গণহত্যা মামলার আসামি, আওয়ামীপন্থি অভিনয়শিল্পী ও বিগত সংসদে এমপি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে মেরে রমনা থানায় সোপর্দ করেছে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাকে আটক করে মারধরের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আতিকুল আলম। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রাজধানীর মিন্টো রোড থেকে জনতা কর্তৃক আটক করে বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে থানায় সোপর্দ করা হয়। তবে তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে তা নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে মিন্টো রোডের পুরাতন রমনা থানার সামনে থেকে অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানকে আটক করে স্থানীয় ও হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। পরে তাকে কয়েক দফায় মারধর করা হয়। এসময় টানাহেঁচড়ায় তার পড়নের জামা ছুঁড়ে যায়। পরে বিকাল পৌনে পাঁচটার দিকে তাকে রমনা থানায় সোপর্দ করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে গুলশানের শাহজাদপুরে দেলোয়ার টাওয়ারে বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন অভিনেতা সিদ্দিক। খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা তাকে ধরতে টাওয়ারের সামনে অবস্থান নেন। বিষয়টি টের পেয়ে সিদ্দিক বন্ধু ও কথিত দুলাভাই জামিল আহম্মেদের সহায়তায় কৌশলে পালিয়ে যান।
পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জামিলের সহায়তার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা তার বাসায় হামলা চালান। তবে জামিল বাসায় না থাকায়, চেহারার মিল থাকায় তার ভাই আনোয়ার হোসেন কুডুকে ভুল করে মারধর করে চলে যান তারা। আহত কুডুকে পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।