রাজধানীতে ২৪ ঘণ্টার ঝটিকা মিছিলবিরোধী অভিযানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যসহ দলটির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন— সাবেক সংসদ সদস্য ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলম (৬৯), তুরাগ থানা ৫৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম বাবু (৪৯), বংশাল থানার ৩৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. ওয়ারেজ সিকদার (৪৮), তুরাগ থানা যুবলীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহেদ আলম (৪০), যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য শহীদুল হক চৌধুরী রানা (৫৪), স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল সমন্বয়কারী জাহিদুল ইসলাম তুষার (৩০), তুরাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি মো. রেজাউল করিম (৪৭)।
ডিএমপি জানায়, ২৭ এপ্রিল দুপুর পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর বংশাল এলাকা থেকে মো. ওয়ারেজ সিকদার ও বিকাল সোয়া ৩টার দিকে ইংলিশ রোড এলাকা থেকে মো. শাহেদ আলমকে গ্রেফতার করে ডিবির মতিঝিল বিভাগের একটি দল। একইদিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ধানমন্ডি এলাকা থেকে সাবেক এমপি মো. জাফর আলমকে গ্রেফতার করে ডিবির রমনা বিভাগ।
এর আগে সকাল ৭টায় গোপীবাগ এলাকা থেকে শহীদুল হক চৌধুরী রানা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উত্তরা কামারপাড়া এলাকা থেকে মো. সিরাজুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করে ডিবি উত্তরা বিভাগের একটি দল।
এছাড়াও এদিন রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর শনির আখড়া এলাকা থেকে জাহিদুল ইসলাম তুষারকে গ্রেফতার করে ডিবি সাইবার বিভাগের একটি টিম। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে উত্তরা পূর্ব থানাধীন ১৮ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে মো. রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএমপি আরও জানায়, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।