তিতাসের উচ্ছেদ অভিযানে গত আট মাসে ৩৪ হাজার ৫৪টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৭৬ হাজার ২৩৭টি বার্নার চুলা বিচ্ছিন্ন করা হয়। এই অভিযানে ১৫৭ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গতবছরের সেপ্টেম্বর থেকে রবিবার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত আট মাসে অভিযান পরিচালনা করে ২৪৬টি শিল্প, ১৬৫টি বাণিজ্যিক ও ৩৩ হাজার ৬৪৩টি আবাসিক বাসায় এই অভিযান চালানো হয়।
এদিকে ২৭ এপ্রিল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়ের নেতৃত্বে তিতাসের মেঘনা ঘাটের আওতাধীন পিরোজপুর (মক্কা ফুট ও মাদ্রাসার আশেপাশের পিরোজপুর) সোনারগাঁও এলাকায় অবৈধ চুন কারখানা এবং জৈনপুর, পিরোজপুর, সোনারগাঁও এলাকায় একটি অভিযান চালানো হয়। অভিযানে আনুমানিক ৫০০ আবাসিক বার্নার চুলার অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এছাড়াও কোম্পানির বৈধ বাণিজ্যিক গ্রাহক মেসার্স অস্ট্রিজ চাইনিজ রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড পার্টি সেন্টার, মুগড়াপাড়ায় অনুমোদনের অতিরিক্ত গ্যাস ব্যবহার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সংযোগটি তাৎক্ষণিক বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসময় বার্নার ১৪টি, বিভিন্ন ব্যাসের এমএস পাইপ ৭০ ফুট (আনুমানিক) ও হোজ পাইপ ৪৫০ ফুট (আনুমানিক) জব্দ করা হয়। অভিযানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদের বিপরীতে ২২ হাজার ঘনফুট/ঘণ্টা গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে এবং সাশ্রয় করা গ্যাসের আনুমানিক দাম ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৮৩৬ টাকা।
একই দিনে আঞ্চলিক রাজস্ব শাখা-নারায়ণগঞ্জ, আঞ্চলিক রাজস্ব উপ-শাখা ফতুল্লা-কুতুবপুরের আওতাধীন এলাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে ৯টি সংযোগ (যার বার্নার চুলার সংখ্যা ৪১টি) বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এসময় তাৎক্ষণিকভাবে বকেয়া গ্যাস বিল ২ লাখ ১১ হাজার ৬৮০ টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে।
এছাড়া, তিতাসের ভিজিল্যান্স বিভাগ (ঢাকা মেট্রো) সাজমা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শন করে অনুমোদিত লোড ৬ হাজার ৬৮৫ সিএফটি’র জায়গায় ১ হাজার ১৪০ সিএফটির স্থাপনায় গ্যাস সংযোগ দেখতে পাওয়ায় গ্রাহকের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এছাড়াও, তিতাসের আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ-চন্দ্রা, জোবিঅ-টাংগাইলের আওতাধীন রানার চালা, গোড়াই, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল এলাকার দুটি স্পটে মোট ২৩টি আধাপাকা বাড়ি ও ৩টি ভবনের অবৈধ গ্যাস পাইপলাইন বিচ্ছিন্নসহ হাউজলাইন অপসারণ করা হয়। এতে মোট ১৫৬টি অবৈধ চুলার সংযোগ স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় মোট ৪৬০ ফুট পাইপ জব্দ করা হয়েছে।