ধর্ষণে জড়িতদের প্রকাশ্যে ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে ধর্ষণের শিকার লামিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় গণমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় এ দাবি জানান তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদের মেয়ে লামিয়াকে দেখতে হাসপাতালে এলে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
ধর্ষণে জড়িতদের দৃশ্যমান ফাঁসি কার্যকর করতে হবে উল্লেখ করে সারজিস আলম বলেন, ধর্ষকের উন্মুক্ত স্থানে ফাঁসি দিতে হবে। আর না হয় এ শাস্তির ভিডিও ফুটেজ মানুষের সামনে আনতে হবে। মানুষ বিবেক হারাতে হারাতে এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে এরকম নৃশংস ঘটনা বারবার ঘটছে।
তিনি বলেন, লামিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় পুরো দেশের মানুষ মর্মাহত। নতুন বাংলাদেশের জন্য যে ভাই জীবন দিয়েছেন তার কন্যার সাথে এমন একটি নৃশংস ঘটনা ঘটে গেছে। পৃথিবীর কেউই এমন একটা ঘটনা প্রত্যাশা করে না।
সারজিস আলম বলেন, কিছুদিন আগে ঠিক একইভাবে আমরা আছিয়া নামে আরেক বোনকে হারিয়েছিলাম। এরকম ঘটনায় জড়িত মানুষরূপী পশুদের দৃশ্যমান ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। আমরা যখন হাসপাতালে লামিয়াকে দেখতে এলাম তার মা আমাদের কাছে বারবার প্রশ্ন করছিল, তোমরা কি আমার লামিয়াকে ফিরিয়ে দিতে পারবে? এর কোনও উত্তর আমার কাছে নেই।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বা এরপর যারা সরকারে আসবেন তাদের কাছে আমরা চাইবো, ধর্ষকের প্রকাশ্যেই মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ, এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে সুশীলতা দেখিয়ে লাভ নেই।
‘একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশে প্রচুর এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটতো। যখন এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হলো তখন এসিড নিক্ষেপের ঘটনা অনেক কমে এলো। এমন কিছু মানুষ আছে যারা যেরকম ডিজার্ভ করে তাদের বিরুদ্ধে সেরকম অ্যাকশন নিতে হবে।’
এনসিপির পক্ষ থেকে এ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করে সারজিস আলম আরও বলেন, আগে অন্তর্বর্তী সরকার আছিয়ার ধর্ষণের ঘটনায় ৯০ দিনের মধ্যে বিচারের কথা বলেছিল। এটা যদি আরও দ্রুত করা যায় তাহলে আগামীতে আমাদের আর কোনও বোনকে আছিয়া বা লামিয়ার মতো এমন ঘটনার শিকার হতে হবে না।
ধর্ষণ মামলায় আসামির জামিনের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, যারা এরকম অপকর্ম-নৃশংসতার সাথে জড়িত সেই আসামির জামিন যেন কোনও বিচারক না দেন। যে আইনজীবী এরকম আসামির জামিনের জন্য আদালতে আসে, আমরা মনে করি— তিনিও বিবেক ও প্রফেশনালিজ হারিয়ে ফেলেছেন। নরপশুদের কোনও সিমপ্যাথি না দেখানোর আহ্বান জানান সারজিস।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়ের আত্মহত্যা