দক্ষিণ এশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল খাতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন কো-আপারেটিভ ডেভেলপমেন্ট ফর অপারেশনাল সেফটি অ্যান্ড কন্টিনিউয়িং এয়ারওর্দিনেস প্রোগ্রাম: সাউথ এশিয়ার (কসক্যাপ-এসএ) স্টিয়ারিং কমিটির ৩২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২২ থেকে ২৪ এপ্রিল নয়া দিল্লিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ২০২৬ সালের জন্য সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কসক্যাপ দক্ষিণ এশিয়ার স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা দক্ষিণ এশিয়ার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক বা চেয়ারম্যান। এবারের সভায় বিগত এক বছরের কার্যক্রমের পর্যালোচনা, ২০২৫-২০২৬ সালের বার্ষিক কর্মসূচির অনুমোদন এবং আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করা হয়। সভার সভাপতিত্ব করেন বর্তমান সভাপতি ও শ্রীলঙ্কার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক এয়ার ভাইস মার্শাল সাগারা কোটাকাডেনিয়া (অব.)।
সভায় বোয়িংয়ের পক্ষ থেকে ফ্লাইট ডেটা মনিটরিং বিষয়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ উপস্থাপনা এবং আইসিএও এপিএসি অফিসের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে উপস্থাপনা দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে বিভিন্ন সেমিনার, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল সভায় অংশ নেয়। সভায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেশের এভিয়েশন খাতে সাম্প্রতিক অবকাঠামোগত উন্নয়ন– যেমন নতুন টার্মিনাল নির্মাণ, কক্সবাজার বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ, সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন, নতুন এটিসি টাওয়ার এবং রাডার স্থাপনের বিষয় উপস্থাপন করা হয়। আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশন (আইকাও) এসব উদ্যোগের প্রশংসা করে। এছাড়াও সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশের সিভিল এভিয়েশন একাডেমি আইসিএও ট্রেনার প্লাস প্রোগ্রামের গোল্ড মেম্বারশিপ অর্জন করেছে। আইসিএও বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে অতিরিক্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিরও অনুমোদন দিয়েছে।