সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫-এ নারী কোটা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। রবিবার (২০ এপ্রিল) মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করা বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারলাম যে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫- এর খসড়ায় আগের ৬০ শতাংশ নারী কোটা রাখা হয়নি, যা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রতিবন্ধকতা স্বরূপ। বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নারী কোটা না রেখে বিধিমালার খসড়া তৈরি করায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
এতে আরও বলা হয়, একটি শিশুর প্রথম শিক্ষার স্তর হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা, যেখানে নারী শিক্ষকরা শিশুর মনোজগতকে ভালোভাবে বুঝতে পারেন। একজন শিশুর মনো- সামাজিক বিকাশে মায়ের অবদানের পাশাপাশি নারী শিক্ষকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। দেশের সব স্তরে নারীর সমঅংশগ্রহণ, সমসুযোগ ও সমঅধিকার থেকে অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারীরা এখনও অনেক পিছিয়ে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৫ পূরণ করতে হলেও নারীর জন্য বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সংরক্ষণ থাকা প্রয়োজন। প্রাথমিক শিক্ষকপদে নারী কোটা বিলুপ্ত হলে একদিকে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের ক্ষমতায়নের পথ রুদ্ধ হবে, অপরদিকে দেশের জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫-এ নারী কোটা বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছে এবং এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আহ্বান জানাচ্ছে।