“বিলাসী জীবনসহ নানা প্রশ্নের মুখে সারজিস ও হাসনাত” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রথম আলো। এই শিরোনামের প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, দিল্লি থেকে লিখে দেওয়া নিউজ করে যদি ভেবে থাকেন হাসনাত আব্দুল্লাহকে থামাতে পারবেন তাহলে আপনারা এখনও ভুলের জগতে আছেন।
রবিবার (২০ এপ্রিল) মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন হাসনাত। যদিও কিছু সময় পর তথ্য সংকট দেখিয়ে শিরোনামটি সরিয়ে নেয় প্রথম আলো।
ফেসবুক পোস্টে হাসনাত বলেন, প্রথম আলো আজ শিরোনাম করেছে "হাসনাতের বিলাসী জীবনযাপন নিয়ে প্রশ্ন"। আমি প্রথম আলোর সেই সাংবাদিককে অনুরোধ করছি আপনি দয়া করে আমার বাসায় এসে দেখে যান আমি কত বিলাসী জীবনযাপন করি। দিল্লি থেকে লিখে দেওয়া নিউজ করে যদি ভেবে থাকেন হাসনাত আব্দুল্লাহকে থামাতে পারবেন তাহলে আপনারা এখনও ভুলের জগতে আছেন। থামার হলে তো সেদিনই থেমে যেতাম। ক্লিন ইমেজের আওয়ামী লীগ ফেরানোর বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একাই রুখে দাঁড়াতাম না।
"থামার হলে আপনাদের মতোই ভারত বা র— এদের তাঁবেদারি করে মন্ত্রী হওয়ার হিসাব করতাম। বিলাসিতাই যদি করতে চাইতাম তাহলে আমার এত যুদ্ধ করার দরকার ছিল না আপনাদের সাথে মিলে মিশেই বিলাসী জীবন বেছে নিতে পারতাম। আমি সেটা করিনি এবং করবও না। যতই তথ্যসন্ত্রাস করেন, আমি ভারত আর র-এর বিরুদ্ধে কথা বলা থামাবো না, আওয়ামী লীগ ফেরানোর কোনও উদ্যোগ জীবন থাকতে সফল হতে দেবো না।"
স্ট্যাটাসে হাসনাত বলেন, আমি কত বিলাসী জীবনযাপন করি সেটা সবাই জানে। আমার ব্যাংক ব্যালেন্স থেকে শুরু করি ট্যাক্স রিটার্ন সবকিছুই অ্যাকসেস করা যায়। আপনারাও অ্যাকসেস করতে কিন্তু আপনারা করেননি। চ্যালেঞ্জ করে বলছি, গতকালের মিটিংয়ে আমার এসব বিষয়ে কোনও কথাই হয়নি, প্রশ্নও হয়নি। অথচ এত বড় মিথ্যা আমার নামে ছাপিয়ে দিলেন। আমি আবারও চ্যালেঞ্জ করছি আমি কারও কাছ থেকে এক টাকা নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করুক। যেকোনোভাবে। সরকারি-বেসরকারি যেকোনো গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় তদন্ত হোক। আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো। কিন্তু এসব মিথ্যা নিউজ করে আমাকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করা যাবে না।
তিনি বলেন, প্রথম আলো বারবারই এ দেশের সৎ এবং দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে যে বা যারাই দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদেরকেই আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। আমি সেই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন। র-এর বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ার দুই দিনের মাথায় আমাকে নিয়ে এই তথ্যসন্ত্রাস কাকতালীয় হতে পারে না।
"এসব তথ্যসন্ত্রাস দিয়ে আমাকে থামানো যাবে না। যতদিন দেহে প্রাণ আছে— আমি এই দেশে দিল্লির সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে যাবো। তাতে আমার রাজনীতি যদি না থাকে, আমাকে যদি মাইনাস করা হয়, হোক।
আমাদেরকে মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, র আর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের এ লড়াই অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।"