ঢাকার উত্তরা পূর্ব থানা এলাকার সড়ক থেকে এক ব্যক্তিকে প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে—সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়া এক ব্যক্তিকে জোর করে প্রাইভেটকারে তুলছেন তিন ব্যক্তি। এ ঘটনার একদিন পার হলেও ভুক্তভোগীর নাম, পরিচয় ও ঠিকানার খোঁজ মেলেনি। তার খোঁজে থানায় এসে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগও করেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মহিদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঘটনাটি শুক্রবারের (১৮ এপ্রিল)। এ বিষয়ে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গোয়েন্দা টিম, থানা পুলিশসহ আমরা সবাই কাজ করছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল (১৮ এপ্রিল) বেলা ২টা ৫০ মিনিটের দিকে। তবে অবাক হওয়ার বিষয়—এত সময় পার হওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ কিংবা আমাদের কারও কাছে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। এ কারণে আমরাও বিপাকে পড়েছি। বিষয়টি উদঘাটনে আমাদের সব টিম কাজ করছে।
ডিসি বলেন, আমরা ওই ঘটনার তিনটি সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও ক্লিপ বিশ্লেষণ করে দেখছি। সেখানে রাস্তার পাশেই একসঙ্গে চার ব্যক্তি ছিলেন। ওনাদের মধ্যে একজনকে তারা গাড়িতে টেনে ওঠাচ্ছেন। এ সময় বাকি তিন জনের কেউই কোনও প্রতিবাদ করেননি। যিনি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন, উনিও কোথা থেকে পেলেন আমরা সবকিছুই জানার চেষ্টা করছি।
এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে ওই ভিডিওটি ফেসবুকে পোস্ট করেন নোমান আহমেদ নাফিজ নামের এক ব্যক্তি।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, কালো মাস্ক পরা এক ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে একটি সাদা প্রাইভেটকারে তুলছেন দুই ব্যক্তি। তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক ব্যক্তিও যোগ দেন। এরপর তারা ধাক্কা দিয়ে মাস্ক পর ব্যক্তিকে গাড়িতে তুলে ফেলেন।
নাফিজের ভাষ্য, ‘শুক্রবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের বিপরীত পাশের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়া এক ব্যক্তিকে জবরদস্তি করে প্রাইভেটকারে তোলেন তিন ব্যক্তি।’ নাফিজ বলেন, ‘আশপাশের লোকজনের মতো তিনিও ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে এগিয়ে যান। কিন্তু দুষ্কৃতকারীরা লোকজনকে মারধর শুরু করে। তখন তিনি গোপনে ঘটনার ভিডিও করেছেন। তবে সেই সময় গাড়ির নম্বর ধারণ করতে পারেননি। পরে সিসি ক্যামেরার ভিডিও থেকে গাড়ির নম্বর সংগ্রহ করেছেন তিনি।