X
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

শেষ হচ্ছে ‘গঙ্গাবুড়ি’ রিভার হেরিটেজ প্রকল্প

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট 
১৭ এপ্রিল ২০২৫, ২০:২৬আপডেট : ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ২০:২৬

‘গঙ্গাবুড়ি’ প্রকল্পের দুই বছরের সফল যাত্রার পরিসমাপ্তি একযোগে উদযাপন করছে ব্রিটিশ কাউন্সিল, গ্যোটে-ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ এবং বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশন। নদীর সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহ্যভিত্তিক এই শিল্প প্রকল্পটি সমসাময়িক শিল্পকর্মের মাধ্যমে বুড়িগঙ্গা নদীর সমৃদ্ধ ঐতিহ্য তুলে ধরেছে।

আগামী বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) গ্যোটে-ইন্সটিটিউটে একটি বই প্রকাশনা অনুষ্ঠান, ও ২৫ এপ্রিল থেকে ২ মে হাজারীবাগে অবস্থিত বৃহত্ত্ব আর্ট স্পেসে আয়োজিত এক্সিবিশনের মাধ্যমে এই যাত্রার সমাপ্তি ঘটবে।

গ্যোটে ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের অর্থায়নে প্রকাশিতব্য ‘গঙ্গাবুড়ি’ একটি শিল্পভিত্তিক গবেষণাধর্মী বই, যার মাধ্যমে বুড়িগঙ্গা নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দা, নদীভিত্তিক পেশাজীবী, এবং প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের মাঝে একটি চলমান সংলাপ গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে; যা পুরান ঢাকার নদীর তীরের দ্রুত পরিবর্তনশীল জীবনচিত্র ফুটিয়ে তুলেছে।

অপরদিকে, ব্রিটিশ কাউন্সিলের সার্বিক সহায়তা এবং অর্থায়নে আয়োজিত এক্সিবিশন “পাল: ভূমি, জল, পবন” প্রকল্পটির দুইবছরের শৈল্পিক যাত্রা ও সাফল্য কে তুলে ধরবে, যা দর্শকদের দেবে একটি সমৃদ্ধ ও সৃজনশীল অভিজ্ঞতা। নদীকে ঘিরে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি ইউনিক (ইইউএনআইসি- ইউরোপীয় ইউনিয়ন জাতীয় সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট) বাংলাদেশের ঐকান্তিক সমর্থন হিসেবে এই আয়োজন দুটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গঙ্গাবুড়ি-রিভার হেরিটেজ প্রজেক্টটির সূচনা হয় ২০২৩-এ।

বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালনায় এই প্রকল্পটিতে সহযোগিতা করে ইউনিক বাংলাদেশ ক্লাস্টার সদস্য- ব্রিটিশ কাউন্সিল, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা, গ্যোটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, ইইউ ডেলিগেশন বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশে অবস্থিত ইতালি এবং স্পেন দূতাবাস। ২০২৪-এ ব্রিটিশ কাউন্সিলের একক অর্থায়নে প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্বের সূচনা হয়।

প্রকল্পের প্রথম পর্বে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন, আহমেদ রাসেল, আমিনুল ইসলাম আশিক, অনন্যা মেহপার আজাদ, কাজী সাইদুল করিম তুসো, মো. খাইরুল আলম সাদা, নুর এ আলা সিদ্দিকী ও শামীম আহমেদ চৌধুরী; এবং দ্বিতীয় পর্বে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা হলেন, দিনার সুলতানা পুতুল, মোজাহিদ মুসা, বিলাস মণ্ডল, এলোদী গুইনার, মইনুদ্দিন মনি ও রূপকল্প চৌধুরী। শিল্পীদের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন পারফরমেন্স আর্টিস্ট ফারাহ নাজ মুন, ইয়াসমিন জাহান নুপূর, জয়দেব রোয়াজা এবং নগর-লোকজ শিল্পী মোহাম্মদ হানিফ পাপ্পু এবং সৈয়দ আহমেদ হোসেন।

শিল্পী কফিল আহমেদের বিখ্যাত গান ‘গঙ্গাবুড়ি’ হতে অনুপ্রেরণা নিয়ে এই প্রকল্পের নামকরণ করা হয়। প্রকল্পটির সার্বিক নির্দেশনা ও পরিচালনায় ছিলেন শেহজাদ শাহরিয়ার চৌধুরী এবং বিশ্বজিৎ গোস্বামী।

/এএইচএস/ইউএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান সারওয়ার্দী
রানা প্লাজার পর বাইডেন-উপদেষ্টাকাণ্ডে আলোচনায় আসেনএলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান সারওয়ার্দী
শিল্পীদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি ১০ প্রস্তাবনা
শিল্পীদের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি ১০ প্রস্তাবনা
রোমে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র
রোমে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে বসছে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র
রিয়ালে কোচ হয়ে ফিরছেন ক্লপ?
রিয়ালে কোচ হয়ে ফিরছেন ক্লপ?
সর্বাধিক পঠিত
সন্তান বিক্রি করে জুয়েলারি ও মোবাইল কিনেছেন মা
সন্তান বিক্রি করে জুয়েলারি ও মোবাইল কিনেছেন মা
এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ
এক সংবাদ একই শিরোনামে ১৩ পত্রিকায়, সম্পাদকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
মৃত্যুর আগে ফেসবুকে লিখলেন ‘ওরা মানুষকে মানুষ মনে করে না’
মৃত্যুর আগে ফেসবুকে লিখলেন ‘ওরা মানুষকে মানুষ মনে করে না’