বর্ষা মৌসুমে রাজধানীতে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি জনদুর্ভোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ সমস্যা নিরসনে আগামী ৩০ মে’র পর নতুন করে আর কোনও রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর নাগরিকদের অংশগ্রহণে আয়োজিত গণশুনানিতে তিনি এ কথা জানান।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ৩০ মে’র মধ্যে সড়ক ও ফুটপাতের চলমান খোঁড়াখুঁড়ি মেরামত শেষ করতে হবে। এরপর নতুন করে আর কোনও খোঁড়াখুঁড়ির অনুমতি দেওয়া হবে না।
তিনি জানান, মোহাম্মদপুরের হাইক্কার খালসহ ডিএনসিসির আওতাধীন খাল, মাঠ, পার্ক, রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করতে অভিযান চালানো হচ্ছে এবং অবৈধ দখলদারদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। এসব অভিযান তিনি নিজে উপস্থিত থেকে পরিচালনা করবেন বলেও জানান।
টিসিবি কার্ড সংক্রান্ত প্রশ্নে ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, আগের তালিকা নিয়ে অভিযোগ থাকায় যাচাই-বাছাই করে নতুন ও সঠিক তালিকা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এতে কোনও রাজনৈতিক প্রভাব থাকছে না।
ফুটপাতের হকারদের উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ এজাজ জানান, হকার উচ্ছেদে অভিযান চলছে। এই কার্যক্রমে চাঁদাবাজ চক্র জড়িত। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া স্ট্রিট লাইট মেরামত, পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ, নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানোসহ বিভিন্ন নাগরিক সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান ডিএনসিসি প্রশাসক।
তিনি আারও জানান, দ্রুতই চালু হতে যাচ্ছে ‘সবার ঢাকা’ অ্যাপ, যার মাধ্যমে নাগরিকরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন।
উল্লেখ্য, নগরবাসীর সমস্যার কথা জানতে ১০টি অঞ্চলে গণশুনানির আয়োজন করেছে ডিএনসিসি। ইতোমধ্যে অঞ্চল ১ থেকে ৫ পর্যন্ত গণশুনানি সম্পন্ন হয়েছে। সূচনা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত অঞ্চল-৫ এর গণশুনানিতে বিভিন্ন ওয়ার্ডের শিক্ষক, ইমাম, বাজার কমিটির প্রতিনিধি, সোসাইটির নেতা, যুবক ও ছাত্র প্রতিনিধি এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয়রা মশার উপদ্রব, ফুটপাত দখল, স্ট্রিট লাইটের সমস্যা, জলাবদ্ধতা, কিশোর গ্যাং এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্যসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।