ভাসানচরকে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত না করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীর জেলা প্রশাসককে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ‘নিরাপদ নোয়াখালী চাই’ সংগঠনের সভাপতি সাইফুর রহমান রাসেলের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী নীলু এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে দ্বীপটি নিজের মানচিত্রের সঙ্গে যুক্ত করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন সন্দ্বীপের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাদের দাবি ও নানামুখী তৎপরতার মুখে সীমানা জটিলতা নিরসনের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় একটি কমিটি গঠন করে। এতে সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাশাপাশি পেশাজীবীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গঠিত কমিটির নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি চট্টগ্রাম জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার প্রতিবেদন জমা দেন। এতে ভাসানচর চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের অংশ বলে উল্লেখ করা হয়।
গত ৯ মার্চ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্তের আলোকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব শাখা ভাসানচরকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার অন্তর্গত দেখিয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সাদিউর রহিম জাদিদের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম (সন্দ্বীপ) ও নোয়াখালীর (হাতিয়া) অংশে আন্তঃজেলা সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তিতে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিরোধপূর্ণ ভাসানচরটি জেগে ওঠা নতুন চর। ২০১৬-১৭ জরিপ মৌসুমে ওই চরে দিয়ারা জরিপ পরিচালনা করা হয়। ওই দিয়ারা জরিপে ভাসানচরকে ছয়টি মৌজায় ভাগ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ভাসানচরকে নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত হিসাবে দেখানো হয়। কিন্তু সিএস ও আরএস-এর মৌজা ম্যাপগুলো জিআইএস প্রযুক্তির মাধ্যমে পেন্টাগ্রাফ করে দেখা গেছে জেগে ওঠা চর চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার অন্তর্গত। এ অবস্থায় সব দিক পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ভাসানচরটি সন্দ্বীপ উপজেলার অন্তর্গত। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তার চিঠিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে ফাইল পাঠান।