রাজধানীর কয়েকটি থানার পৃথক মামলায় গ্রেফতার শুনানি শেষে সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেছেন, ‘নববর্ষ যে হয়েছে এতেই খুশি।’
বুধবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন সকালে ৯টায় তাকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। ৯টা ৫০ মিনিটে হাজতখানা থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়। এ সময় তাকে বেশ হাসিখুশি দেখা যায়। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বাহিরের চেয়ে ভেতরে ভালো আছি।’ এরপর বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপির সঙ্গে রিমান্ড ও জামিন শুনানির জন্য তাকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। শুনানির সময় শাজাহান খান কাঠগড়ার সামনেই দাঁড়ান। মনোযোগ দিয়ে শুনানি শোনেন। শুনানির নানা সময় তাকে হাসতে দেখা যায়। কাঠগড়ায় অনেক আসামির সঙ্গে কথাও বলেন। শুনানির এক পর্যায়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে পানি পান করেন। শুনানি শেষে যাত্রাবাড়ী থানার তিন মামলায় নতুন করে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
শুনানি শেষে শাজাহান খানকে হাতে হাতকড়া, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, মাথায় হেলমেট পরিয়ে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। এ সময় তাকে হাসিখুশি মুখেই যেতে দেখা যায়। নিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে-কারাগারে কেমন নববর্ষ কাটলো? জবাবে শাজাহান খান হেসে বলেন, ‘আমাদের কথা আর কত শুনবে। তোমরা কিছু বলো। নববর্ষ যে হইছে এতেই খুশি।’
গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাজাহান খানকে গ্রেফতার করা হয়। মাদারীপুর-২ আসন (রাজৈর-মাদারীপুর সদরের একাংশ) থেকে টানা অষ্টমবারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন শাজাহান খান। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।