বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে চলছে বর্ণাঢ্য কনসার্ট। সোমবার পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) বিকাল ৩টা থেকে শুরু হওয়া এ কনসার্টে নানা ধরনের সংগীত পরিবেশন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বৈশাখী উৎসবকে আরও রঙিন করে তুলেছে আয়োজকরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও য়েন। আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক প্রতিনিধি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, আয়োজক বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির সচিব ও মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনসহ সরকারি ও বেসরকারি দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কনসার্টের শুরুতেই পরিবেশনায় অংশ নেয় বান্দরবানের বেসিক গিটার লার্নিং স্কুল। এরপর গারো ও আর এন আর ব্যান্ড ‘এফ মাইনর’ সংগীত পরিবেশন করে। সম্মিলিত শিল্পীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় ‘এসো হে বৈশাখ’ গানটি। একক সংগীত পরিবেশন করেন মিঠুন চক্র ও পালাকার ইসলামউদ্দিন। রাকিব ও সাগর দেওয়ান পরিবেশন করেন দ্বৈত ও একক সংগীত, আরজ আলী ওস্তাদের সঙ্গে রাকিব পরিবেশন করেন আরও দুটি দ্বৈত গান। আতিয়া আনিশা পরিবেশন করেন ‘চলো নীরালায়’সহ তিনটি একক সংগীত, আহমেদ হাসান সানি গেয়েছেন ‘মাঝে মাঝে তুমি এলে’, ‘মানুষ কেন এরকম’ ও ‘গল্প না’। শেষে ‘জুলাই আন্দোলন’সহ তিনটি গান পরিবেশন করেন পারশা। অনুষ্ঠানের একদম শেষ পর্যায়ে মঞ্চ মাতায় অ্যাশেজ ব্যান্ড।
কনসার্ট ঘিরে তরুণ-তরুণীদের আনন্দমেলা
কনসার্টকে কেন্দ্র করে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষের উপচে পড়া ভীড় সৃষ্টি হয়েছে। তারা গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নেচে-গেয়ে আনন্দ উৎযাপন করছেন। কনসার্ট ঘিরে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পরিণত হয় মানুষের মিলনমেলায়। তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষ গানে-নাচে মেতে ওঠে বৈশাখী উৎসবে। বিকাল গড়াতেই উপচে পড়া ভিড়ে জমে ওঠে পুরো এলাকায়—কারও হাতে বাঁশি, কেউবা মাথায় রঙিন ফিতা বেঁধে বন্ধুদের সঙ্গে তালে তালে গাইছে গান। আবহাওয়া ছিল মনোমুগ্ধকর, আর প্রতিটি মুহূর্ত যেন নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত এক আনন্দঘন উদযাপন।
মূল আকর্ষণ ‘ড্রোন শো’
সন্ধ্যায় কনসার্ট শেষে শুরু হবে আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ‘ড্রোন শো’। ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের কারিগরি সহায়তায় এবং বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় এই ড্রোন শো আয়োজন করা হয়েছে। এটি চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হবে।