‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩২’ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিনব্যাপী সিভিল এভিয়েশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
এদিন সকালে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য এ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সচিব নাসরীন জাহান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
পরে বেবিচকের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন পার্ক এলাকা প্রদক্ষিণ করে; যা এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করে।
শোভাযাত্রা শেষে অতিথিরা মেলা প্রাঙ্গণে বসানো বিভিন্ন স্টল, যেখানে প্রদর্শিত হয় বাঙালির লোকজ খাবার, হস্তশিল্প, খেলনা এবং গ্রামীণ পরিবেশে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা পরিদর্শন করেন। অতিথিদের সঙ্গে বেবিচক-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এসব স্টল ঘুরে দেখেন।
পরে আয়োজন করা হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে পরিবেশিত হয় আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য ও নাটিকাসহ ইত্যাদি। এছাড়াও ছিল খেলাধুলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, যা পুরো আয়োজনকে করে তোলে আরও আনন্দময়।
প্রধান অতিথি নাসরীন জাহান বলেন, ‘এই সুন্দর আয়োজনের অংশ হতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত ও গর্বিত। সবাই বাঙালি পোশাকে, প্রাণবন্ত সাজে আজকের উৎসবে মেতে উঠেছেন। এটি শুধু একটি উৎসব নয়, বরং আমাদের জাতীয় চেতনা, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের প্রতিচ্ছবি। বেবিচকের এমন আন্তরিক আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।’
অনুষ্ঠানে বেবিচক চেয়ারম্যান মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া বলেন, আজ বাঙালির প্রাণের উৎসব, পহেলা বৈশাখ। এই শুভক্ষণে আমি বেবিচকের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বৈশাখ আমাদের শিকড়ের কাছে ফেরায়, ঐক্য, সহমর্মিতা ও অসাম্প্রদায়িকতার চেতনায় সবাইকে একতাবদ্ধ করে। আমরা বিশ্বাস করি, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতেই একটি জনবান্ধব প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। দেশের বিমান চলাচল খাতের উন্নয়নে বেবিচক অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে, আর এই অগ্রযাত্রায় আমাদের ঐক্য, পেশাদারত্ব ও সাংস্কৃতিক চেতনা অনুপ্রেরণার উৎস।