বাংলা নববর্ষের দিনে অর্ধ কোটি টাকার ফুল বিক্রির প্রত্যাশা করছেন রাজধানীর শাহবাগের ফুল ব্যবসায়ীরা। ইতোমধ্যেই দোকান সাজানোর কাজ শেষ হয়েছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকালে কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান ঈদের পর ফুলের ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে বিক্রি হয় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। আর বাংলা নববর্ষের দিনে দোকান প্রতি গড়ে বিক্রি করতে চান ৫০ হাজার টাকা করে। সে হিসেবে সেখানের ১০০টি দোকানে বিক্রি হতে পারে ৫০ লাখ টাকা।
তারা জানান, এবার ভালো বিক্রি করে কিছুটা লাভবান হতে চান তারা। এ জন্য দোকানে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি ফুল তোলা হয়েছে। আনা হয়েছে নতুন নতুন ফুলও।
ফুল ব্যবসায়ী রেশমী বেগম জানান, তিনি নিয়মিত গোলাপ, রজনিগন্ধা, গাঁদা ও বেলী ফুল বিক্রি করেন। তবে যেকোনও জাতীয় উৎসবে অন্যান্য ফুলের চাহিদা থাকে। তাই এবার বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে যশোর ও সাভার থেকে এনেছেন জিপসি, চায়না জিপসি, রডস্টিক, কেলেনডোলা, চন্দ্রমল্লিকা, গ্যালোরাজ। তিনি বলেন, এসব ফুল স্বাভাবিক সময়ে এতটা বিক্রি হয় না। তবে বিশেষ দিনে কিছুটা চাহিদা থাকে। পহেলা বৈশাখে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে গোলাপ ও রজনিগন্ধা ফুলের।
পুষ্প কাননের দোকানি আনিসুর রহমান জানান, লাল গোলাপের নিয়মিত দাম প্রতি পিস ২০ টাকা। তবে বৈশাখ উপলক্ষে পাইকারি দাম বেড়ে যাওয়ায় তা এবার ৩০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। আর ২০ টাকার রজনীগন্ধাও এবার ৩০ টাকা। তিনি বলেন, এই দুটিসহ মোট ১০টি ফুলের সমন্বয়ে বানানো মেয়েদের মাথার চাকতির চাহিদা বেশি থাকে। কারণ অনেকে এটি খোপায় বেঁধে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। এবার প্রতি পিস চাকতি বিক্রি করা হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।
ক্রেতা হাবিবা জান্নাত জানান, যেকোনও উৎসবে তিনি শাহবাগ থেকে ফুল কিনেন। কারণ এখানে অনেক দোকান ঘুরে কেনা যায়। এবারের পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ফুলের দাম কিছুটা বাড়তি বলে মনে করেন।
ফুল ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ও আনিকা পুষ্প বিতানের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এখানে শতাধিক দোকান রয়েছে। ঈদের পর বাজার এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বাংলা নববর্ষের মাধ্যমে কিছুটা বাড়তি উপার্জনের আশায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।