X
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

মার্চ ফর গাজা: দীর্ঘদিন একসঙ্গে এত মানুষ দেখেনি রাজধানীবাসী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৩০আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৩০

ইসরায়েলি বর্বরতার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার রাজপথে প্রতিবাদী জনতার ঢল নামে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহনে মানুষ এসে জড়ো হয় রাজধানীতে। জনতার বাঁধ ভাঙা জোয়ার মিশে যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। শেষ কবে এত বড় জনসমাগম হয়েছে তা মনে পরছেন না বলে জানান অনেকে।

প্যালেস্টইন সলিডারিটি মুভমেন্ট আয়োজিত মার্চ ফর গাজা শনিবার বিকাল ৩টায় শুরুর কথা থাকলেও সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন লাখো মানুষ। ‘ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ’, ‘ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন’, ‘ইজরায়েলি পণ্য, বয়কট বয়কট’ সহ নানা স্লোগান দেন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা।

তিল ধারণের ঠাঁই নেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

দুপুর ১২টা নাগাদ মূল মাঠে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। তাই মাঠের বাইরে যে যার মতো জায়গায় অবস্থান নেন। পূর্বে শিক্ষাভাবন, কদম ফোয়ারা, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবন থেকে শাহাবাগ মোড়, দক্ষিণে দোয়েল চত্বর ও পশ্চিমে টিএসসসি মোড় সব জায়গাই ছিল লোকে লোকারণ্য।

বিকাল সাড়ে ৪টায় কর্মসূচি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত জনতার গন্তব্য ছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে। সবার হাতে হাতেই ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা, ব্যাজ ও হাত পতাকা। পুরুষের পাশাপাশি কর্মসূচিতে অংশ নেন নারীরাও। অনেকে নিজেদের ছোট সন্তানদের নিয়েও কর্মসূচিতে আসেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেয় লাখো মানুষ

মূল মঞ্চে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আসনগ্রহণ করলেও সাধারণ মানুষের মাঝে কোনও দলীয় বিভাজন দেখা যায়নি। অনেকেই জানিয়েছেন রাজনৈতিকভাবে তারা আলাদা আলাদা আদর্শ ধারণ করলেও ফিলিস্তিনিসহ বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে মানবতার লঙ্ঘন প্রশ্নে তারা ঐক্যবদ্ধ। মিছিলেও ছিলে ঐক্যের সুর। কর্মসূচি ঘিরে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কেউ কেউ নিজ উদ্যোগে আগতদের মাঝে পানি ও শরবত বিতরণ করেন।

রাজধানীর লালবাগ থেকে আগত সত্তরোর্ধ্ব এক প্রবীণ জানান, শুধু মানবতার খাতিরে সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে কর্মসূচিতে এসেছেন। স্বাধীনতার পর তিনি ঢাকায় এত বড় গণজমায়েত দেখেননি। দলমত নির্বিশেষে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের কারণে এমনটি সম্ভব হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন তিনি।

মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে কোলের শিশু সন্তানকে নিয়ে এসেছেন হাফসা বেগম। তিনি অবস্থান নেন দোয়েল চত্বরে। হাফসা জানান, বিবেকের তাগিদে মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে এসেছেন। এত বড় গণজমায়েতে অংশগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেন। ফিলিস্তিন প্রশ্নে যে ঐক্য, তা আগামীতে জাতীয় জীবনেও প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মনে করেন।

/এমকে/আরকে/
সম্পর্কিত
গাজায় তাঁবুতে ইসরায়েলি হামলা, নিহত অন্তত ৩৭
শর্তসাপেক্ষে সব জিম্মিকে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত হামাস
গাজায় বাফার জোন থেকে সরবে না ইসরায়েল
সর্বশেষ খবর
ইচ্ছেমতো বসছে দোকান, পতেঙ্গা সৈকতের সৌন্দর্য ম্লান
ইচ্ছেমতো বসছে দোকান, পতেঙ্গা সৈকতের সৌন্দর্য ম্লান
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৫)
টিভিতে আজকের খেলা (১৯ এপ্রিল, ২০২৫)
খামারে আগুন, পুড়ে মারা গেছে ৫০ হাজার মুরগি
খামারে আগুন, পুড়ে মারা গেছে ৫০ হাজার মুরগি
সুন্দরবনের দস্যু করিম শরিফ বাহিনীর দুই সহযোগী অস্ত্রসহ আটক
সুন্দরবনের দস্যু করিম শরিফ বাহিনীর দুই সহযোগী অস্ত্রসহ আটক
সর্বাধিক পঠিত
পরীক্ষা ভালো হয়নি, বাড়ি ফেরার পর ঘরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ
পরীক্ষা ভালো হয়নি, বাড়ি ফেরার পর ঘরে এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ
সন্তান বিক্রি করে জুয়েলারি ও মোবাইল কিনেছেন মা
সন্তান বিক্রি করে জুয়েলারি ও মোবাইল কিনেছেন মা
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
‘বাবা বাইরে মা ঘুমিয়ে’, দুই শিশুসন্তানকে কুপিয়ে হত্যা করলো দুর্বৃত্তরা
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
রাজধানীতে আবার আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় পুরস্কারের সম্ভাব্য তালিকায় যারা
জাতীয় পুরস্কারের সম্ভাব্য তালিকায় যারা