ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে সংহতি সমাবেশ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় ঘুরে ভিক্টোরিয়া পার্ক হয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অংশ নেন। এসময় ‘ফ্রি-ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘জেনোসাইড নো মোর’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস এলাকা।
শিক্ষক সমিতির সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, মাসের পর মাস ধরে গাজায় নির্মম গণহত্যা চলছে। আমরা দেরিতে হলেও এর প্রতিবাদে আজ একত্রিত হয়েছি। সরাসরি কিছু করতে না পারলেও আমাদের প্রার্থনা যদি মহান আল্লাহ কবুল করেন— তবে হয়তো নির্যাতিত মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক সাবিনা শরমিন, প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেনসহ অন্য শিক্ষকরা।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালগুলো ধ্বংস করে ফেলা হচ্ছে, মসজিদগুলোকেও ধ্বংস করে ফেলছে। মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোকে বলতে চাই আপনারা কেন চুপ করে আছেন, কোন ইশারায় চুপ করে আছেন। মানবতার ফেরিওয়ালা জাতিসংঘকে বলতে চাই, আপনাদের মানবতা কোথায়। ওআইসিকে বলতে চাই, আপনারা উদ্যোগে গ্রহণ করুন। আমি সবাইকে ভৌগোলিক সীমারেখা, রাজনৈতিক মতাদর্শের ভেদাভেদ ভুলে ঐক্য গড়ে ইহুদিদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, আনুষ্ঠানিকতা ও নিন্দা বিবৃতি অনেক দেখেছি আমরা, আর নয়। আমরা চাই, পুরো বিশ্বের সকল মুসলিম দেশ একত্রিত হয়ে অ্যাকশনে চলে যাক। আমেরিকা, ইসরায়েল ও ভারতের মত নরপিশাচদের কথা না বলে আমরা আমাদের মুসলিম বিশ্বকে জাগিয়ে তোলা দরকার। ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে হলে পুরো মুসলিম বিশ্ব একত্রিত হতে হবে।
জবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র নওশীন নওয়ার জয়া বলেন, যারা বিশ্ব মানবতার কথা বলে, আজ তারা নীরব। গণহত্যার সহায়কদের পণ্য বর্জন করে আমাদের প্রতিবাদ জানাতে হবে।