টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ আইনের যে ধারায় ইন্টারনেট বা গেটওয়ে বন্ধ করা যায়, সেটা সংশোধন করে আমরা একটি স্তরে নিয়ে যাচ্ছি—যেখানে ভবিষ্যতে কোনও সরকার ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না। অর্থাৎ আমাদের বিনিয়োগকারী এবং স্টার্টআপদের ইন্টারনেট বন্ধ করা নিয়ে যে উদ্বেগ, সেটা নিরসনে আমরা সুস্পষ্টভাবে পদক্ষেপগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিনিয়োগ সম্মেলনের প্রথম দিনের সার্বিক বিষয় তুলে ধরতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করায় আমাদের ফ্রিল্যান্সার, ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে, একইভাবে বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে যে ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট রেটিং, সেটিরও অবনমন হয়েছে। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা চাচ্ছি—সকালের একটি অনুষ্ঠানে আমরা বলেছি যে বাংলাদেশ সরকার কখনও ইন্টারনেট বন্ধ করবে না। আগামী সরকার যাতে ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে, সেজন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। এর মধ্যে আছে– এই সপ্তাহে বা আগামী সপ্তাহে আমরা যে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ পাস করবো, সেখানে ইন্টারনেটকে নাগরিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছি। আরেকটি বিষয় হচ্ছে– মন্ত্রণালয় থেকে ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) ছিল, সেটি আমরা বন্ধ করে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্টারলিংকের নিবন্ধনের জন্য আমরা একটা এনজিএসও গাইডলাইন করেছি। সেখানেও আমরা সরকারের হাতে ইন্টারনেট বন্ধ করার কোনও বিধান রাখিনি।’